Posts

Showing posts from May, 2024

ক্যাম্পের ৭০জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে

শুভ ঘোষ: ভরা দুযর্গে ওড়িশা মধ্যে অল ইন্ডিয়া কাইকোসিন কাইকোন সামার ক্যাম্প ২০২৪। এন,এস,টাটা কিউকোসিন ক্যারাটের অর্গানাইজেশন অল ইন্ডিয়া গড়িয়া সংগঠনের সভাপতি নির্মল সাহা (সেনসি থেকে সিহান) প্রদমর্যদা সন্মান করা হয় ওড়িশায় ।অল ইন্ডিয়া কাইকোসিন উদ্যোগে চারদিন ব্যাপী ২৭শে মে থেকে ৩০শে মে মাসের ২০২৪ ওড়িশা পুরীতে ক্যারাটে সামার ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয়। ওড়িশা পুরীতে চারদিনের ক্যাম্পের ৭০জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে এই ক্যারাটে ক্যাম্পে।এই পাঁচ বছর সামার ক্যাম্পে ক্যারাটে  সিহান নির্মল সাহা তার বিভিন্ন ছাত্র সেনসী পদমর্যদাপূর্ণ ক্যারাটে দীক্ষিত গুরু পরিমল দে,‌বুদ্ধদেব বোষ,দেবাশীষ মন্ডল,প্রদীপ কর্মকার,শেখ এস,কে সাইফুদ্দিন,অঙ্কিতা সাহা,সায়ন দ্বীপ সাহা,উত্তম সরকার,অমিত মাইতি,গোবিন্দ বোষ আরো অনেক বিশিষ্ট অতিথিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উড়িষ্যার পুরী

শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তুলে দেন পৌর নিগমের যাবতীয় নথি মেয়র গৌতম দেব :-

বেবি চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি :- মখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত শুক্রবার শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব পৌর নিগমের যাবতীয় নথি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দের হাতে তুলে দেন। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব জানান যে পৌর নিগমের সমস্ত নথি মিশন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হল, আশা করা যায় এবার থেকে এই জমি নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না। যদি কেউ এই সম্পত্তিতে সমস্যা করার চেষ্টা করে তাহলে তাকে জেলে থাকতে হবে।  সম্প্রতি কিছু দুষ্কৃতি রাতের অন্ধকারে অস্ত্রসহ নিয়ে প্রবেশ করে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ওপর হামলা চালায়। শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দ মহারাজ এ বিষয়ে জানান, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন শুধু বাংলা বা ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এটি একটি গ্লোবাল অর্গানাইজেশন। এই ঘটনা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এই ঘটনার পর মিশনের আবাসিকরা যে এখনো স্বাভাবিক নয় সে কথাও জানান স্বামী শিবপ্রেমানন্দ মহারাজ। তিনি আরো জানান, আমরা আইনের উপর বিশ্বাসী। পুলিশ প্রশাসন আশা করি একটা ব্যবস্থা নেবে। এবং ভবিষ্যতে স্থানীয় পুলিশ স্টেশন এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের থ

২৪ মে প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু হয় আলোচনা পর্ব

Image
সুকন্যা মজুমদার:   সম্প্রতি ২৩ মে থেকে ২৭ মে জাতীয় ব্রহ্ম কুমারী মিডিয়া শাখার ঐকান্তিক উদ্যোগে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে পাঁচদিনের সেমিনার আয়োজিত হয়েছিল। মূলত সংবাদ মাধ্যমকে ভারতীয় অধ্যাত্মীকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলা ও সর্বোপরি দেশের কল্যাণ কামনা করাই এই সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল। কোভিড পেরিয়ে সংস্থার এই  সাংবাদিক সম্মেলন একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থেকে গেলো আধুনিক সংবাদিকতার পরতে পরতে। রাজস্থানের মাউন্টআবু তে সারা ভারতের ৫০০ বেশি সাংবাদিক  যোগ দিয়েছিলেন এই মহাসম্মেলনে। তৈরী হয়েছিল এক অনবদ্য সন্ধিক্ষণের। ২৪ মে প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। উপস্থিত ছিলেন ভারতের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনে সংস্থা ভারতীয় জনসনচার প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন মহানির্দেশক অধ্যাপক সঞ্চয় দ্বিবেদি, অস্ফোর্ডে কর্মরত বিশিষ্ট লেখক সাংবাদিক নেভিল হোডকিনসন,  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত নিয়ে জার্নাল হ্যান্ডবুকের  জার্নালিস্ট কে শ্রীনিবাস, অভিনেতা বিশাল জেঠুয়া সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। অনাবিল আনন্দ ও অসীম জ্ঞানের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো সাংবাদিকদের  এই মহাসম্মেলন।

চাঁদের গহব্বরে আজও ভাস্বর ড: শিশির কুমার মিত্রের নাম

Image
পার্থ মুখোপাধ্যায়: মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে যে সমস্ত বিজ্ঞানী বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম অধ্যাপক ডক্টর শিশির কুমার মিত্র। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর পরে বেতার গবেষণায় আলোড়ন তুলেছিলেন প্রচার বিমুখ এই বিজ্ঞানী। বাঙালি ছাত্র-ছাত্রীদের মনে বেতার সংযোগ ও পদার্থবিদ্যার শিকড় গেঁথে দিয়েছিলেন তিনি। আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতার ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের সূচনা হয়েছিল তাঁরই হাত ধরে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন, তিনি তাঁর পরিবারের একের পর এক অকাল মৃত্যু দেখেছেন। তবু তিনি ছিলেন লক্ষ্যে অবিচল। রেডিও 'টু- সি- জেড'(2CZ) কেন্দ্রের মাধ্যমে কলকাতা থেকে দেশে প্রথম রেডিও সম্প্রচার চালু করেছিলেন। ইসরোর দ্বিতীয় চন্দ্রযাত্রা পুরোপুরি সফল হয়নি ঠিকই। কিন্তু চন্দ্রায়ন ২ এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের আধার পিঠে কোথায় হারিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও অরবিটার কাজ করে যাচ্ছে। সেই অরবিটারের পাঠানো ছবিতে ধরা পড়েছে চাঁদের মাটিতে অজস্র গহবরের মধ্যে ৯২ কিলোমিটার চওড়া একটি গহবর আছে। যে গহবরের নাম বিজ্ঞানী, পদার্থবিদ ডক্টর শিশির কুমার মিত্র নামে রাখা হয়েছে 'মিত্র ক্রেটার'।

রূপকথার ছড়ায় বাংলার করুন ইতিহাস

Image
পার্থ মুখোপাধ্যায়: বিশ্বব্যাপী লোকসাহিত্যের একটি বিশেষ অংশ জুড়ে আছে নানা রকম ছড়া। এই ছড়া গুলি যেন সেই সোনার কাঠি। যার অমোঘ স্পর্শে মনের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে রূপকথার জগৎ। লাল কমল নীলকমল, ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমি, আবার কখনো ভয়ংকর রাক্ষসের হাত থেকে রাজপুত্রের রাজকন্যা কে বাঁচিয়ে আনার গল্প -  ছোটবেলায় এই সমস্ত ছড়াগুলি শনেনি এমন মানুষ পাওয়া খুবই দুষ্কর। তবে সাহিত্যচর্চার মতো সুচিন্তিত ও সচেতন ভাবে কথা বসানো নয়, শব্দ চয়ন এখানে বড়ই স্বতঃস্ফূর্ত। মানুষ যেদিন থেকে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে শিখেছে সেই দিন থেকেই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে এই সমস্ত ছড়া গুলি তৈরি হয়ে এসেছে। দেশ কালের সীমানা ছাড়িয়ে একটা যুগ থেকে অন্য আরেকটা যুগে এইসব ছড়াগুলি সঞ্চারিত হয়ে এসেছে। গ্রামের সরল জীবন যাপন থেকে শুরু করে বাস্তবে দেখা জগত সবকিছুই এই ছড়ার মাধ্যমে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন কত নাম না জানা কবি, লেখক।  এই ছড়াগুলো সাধারণত মানুষের মুখেই প্রচারিত হয়ে এসেছে। এইভাবে পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংযোজন এর মধ্য দিয়ে কখনো কনো অঞ্চল ভেদে বাংলা ভাষাভাষী বিভিন্ন জায়গায় ক্রম বিবর্তন ঘটেছে। অনেকে মনে করেন ১৮৭৩ সালে ভাষাতত্ত্

শিশুদের মনোবিকাশে জোর দিচ্ছে ব্রজ গোপিকা সেবা মিশন

Image
সুপ্রকাশ চক্রবর্তী: রূপধ্যান। সাধনার এক অনন্য ধারা যা ঈশ্বরের কাছে মানুষের পৌঁছে যাওয়ার পথ আরও সহজ করে। যাঁরা আধ্যাত্মিকতার মধ্যে জীবনের আনন্দ ও ভক্তি খোঁজেন এই সহজ পন্থা তাঁদেরই জন্য।  এমনই মনে করেন স্বামী যুগলশরণ ।  এখন তিনি কলকাতা এবং পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন শহর থেকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন আনন্দময় জীবনে উত্তরণের ঘটানোর উপায় নিয়ে। প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্রজ গোপিকা সেবা মিশন। মনোবিকাশ ও সামাজিক শিক্ষার পাশাপাশি কেরিয়ার অপার্চুনিটি কোর্সও এখানে করানো হয়। এর মাধ্যমে করোনার সময় দেশজুড়ে অন্তত চার হাজার মানুষ করোনার ভীতি কাটাতে মানসিক শক্তি অর্জন করেছেন। কোনও শিক্ষা শুরু করার প্রকৃষ্ট সময় শৈশব। তাই বালসংস্কার শিবির আয়োজন করে প্রথমে তাদের মনের গঠন উপযুক্ত করা, তারপরে যুব উত্থান শিবিরের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মনকে আধ্যাত্মিকতার পথে পরিচালনা করে দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।  সঙ্কটের সময়ে মতি স্থির রাখার শিক্ষা দিচ্ছেন। প্রথম থেকেই মেধাবী ছাত্র। আধ্যাত্মিকতার টানে ছেড়েছেন জিওলডিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বরিষ্ঠ বৈজ্ঞানিকের চাকরি। তাতেও সন্তুষ্ট হননি। এখন আর্তের স

কথিত আছে আন্দামান দ্বীপের নামকরণ হয় রামায়ণে বর্ণিত বানর দেবতা হনুমানের নাম অনুসারে :-

বেবি চক্রবর্ত্তী: হনুমান শব্দটি এসেছে হান্দুমান থেকে যার সংস্কৃত শব্দ হন- ("হত্যা") এবং মানা ("গর্ব") থেকে। অর্থাৎ হনুমান অর্থ "যাঁর গর্ব হত হয়েছে"। হান্দুমান এটি মলয় ভাষা থেকে নেওয়া হয়েছে। যা প্রথমে হান্দুমান থেকে আন্দামান হয়েছে। অন্যদিকে- নিকোবর শব্দটির মলয় ভাষায় অর্থ হল নগ্নলোকের ভূমি।১৭৭৯ সালে ইংরেজরা নৌবহরে এসে আন্দামান দ্বীপে পৌঁছায়। আন্দামানের নিরিবিলি পরিবেশ,উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ,রঙিন জল,উন্মুক্ত নীল আকাশ ইংরেজ মেম সাহেবদের খুব পছন্দ হয়ে যায়।পরে ইংরেজ লাট সাহেবরা আন্দামানে তাদের নৌ-সেনাবহর,ইংরেজ কলোনি,অফিস ঘাট ইত্যাদি তৈরি করেন। তৎকালীন সময়ে ভারত সহ বার্মা, পুর্তগাল,সিঙাপুর,মালএশিয়া, ইন্দোনএশিয়া, প্রভৃতি দেশে ইংরেজদের উপনিবেশ ছিল। আন্দামানে ইরেজরা তাদের প্রভুত্ব থাকা দেশগুলি থেকে বিভিন্ন কয়েদি কে সাজা কাটানোর জন্য নিয়ে এসে আন্দামানের রাস্তা,ঘাট ইত্যাদি নির্মাণ করেন। ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশে, যে সমস্ত লোকেরা নিজেদের স্বাধীনতার স্বার্থে ইংরেজদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠত তাদের শায়েস্তা করার জন্য সাজা দিত। কিন্তু হলে কি হবে বিপ্লবীর রক্ত! রক্ত বীজের ন্যায় দে

একদিকে রেমাল ঘূর্নিঝড়ের প্রভাব অন্য দিকে লোকসভার আসন্ন তান্ডব লীলায় উতপ্ত রাজ্য থেকে রাজনীতি :-

বেবি চক্রবর্ত্তী, কলকাতা :- আসন্ন লোকসভা সপ্তম দফা ভোটের রাজনৈতিক ঝড়কে উস্কে দিল রেমাল ঘূর্ণির তান্ডব। উত্তর ২৪ পরগনা বারাসাত , বনগাঁ থেকে মেদিনীপুর, কাঁথি, তমলুক থেকে কলকাতা দক্ষিন ২৪ পরগনা, গোসবা ক্যানিং, সুন্দরবন। কোথাও ভেঙেছে নদীবাঁধ কোথাও ঘরছাড়া গৃহপালিত জন্তু। এছাড়াও প্রচন্ড জলোচ্ছ্বাস এর জেরে আতঙ্কে সুন্দরবনের মাতলা থেকে কাকদ্বীপ। মিনাখাঁ বিধানসভার চৈতল গ্রামের বাসিন্দাদের নদীবাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়া নিয়ে ঘুম উড়েছে চোখের। উত্তর আখড়াতলার বেতনী নদীর জলে জলমগ্ন গোটা গ্রাম তুললেন নদীবাঁধ সংস্কারের দাবী। এদিকে নদীবাঁধ ঘিরে বিজেপির তরফে সন্দেশখালি থেকে মিনাখাঁ এমনকি মথুরাপুর ও জয়নগর লোকসভার বিস্তীর্ণ এলাকার এই নদীবাঁধ নিয়ে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। একদিকে ভোটের গরম হাওয়া দক্ষিণ ২৪ পরগণায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম দফার ভোট ব্যাঙ্কে তাকিয়ে শাসক থেকে বিরোধী শিবির। অন্যদিকে ঝড়ের দাপট পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে কলকাতায় ও জমেছে জল কিছু কিছু মেট্রো ষ্টেশনেও ঢুকছে জল। এখনও জলের তলায় বেহালা থেকে যাদবপুরের একাংশ। সমুদ্রে যেতে নিষেধ জারি হয়ে

গেমিং জোনে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে মৃত্যু

সুকন্যা মজুমদার: শনিবার বিধ্বংসী আগুন গুজরাটের রাজকোটে গেমিংজোনে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩২ জনের। এদের মধ্য়ে বেশ কয়েকজন শিশু বলে খবর সূত্রের। দমকলের একাধিক ইঞ্জিনের সহাতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।  সপ্তাহের শেষ বলে গেমিংজোনে কচিকাঁচাদের ভিড় বেশি ছিল। সঙ্গে অভিভাবকরাও ছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই গেমিংজোনে একটি অস্থায়ী অংশের ফাইবার ডোমে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখতে পাওয়া যায়। মুহূর্তে আগুন বিধ্বংসী রূপ নেয়। প্রাণে বাঁচতে সকলের হুড়োহুড়ি মধ্য়েই আগুনের লেলীহান শিখা গ্রাস করে সম্পূর্ণ জায়গাটি। একটি মাত্র দরজা থাকায় বিপোত্তী আরও বাড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একাধিক ইঞ্জিন। উদ্ধার করে ভিতরে আটকে পড়া মানুষদের। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে নয় জন শিশুসহ ৩২ জনের। বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। উল্লেখ্য, রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান গুজরাটের মুখ্য়মন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। ঘটনার কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু করতে সীটের দল গঠন করেছে গুজরাট প্রশাসন। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে স্বজনহারা প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

রেমাল ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় শতাধিক ত্রান শিবির ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের

Image
  সুপ্রকাশ চক্রবর্তী: রেমাল ঘুর্নিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ। ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ংকরতার আভাস পেয়ে ভারত সেবাশ্রম সংঘের পক্ষ থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, উত্তর চব্বিশ পরগনা দুই মেদিনীপুর সহ সমুদ্র তীরবর্তী জেলাগুলিতে উদ্ধারকাজ ও মানুষকে দ্রুত উদ্ধার করে ত্রান শিবিরে যাতে পৌঁছে দেওয়া যায় তাই আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ।   ইতিমধ্যেই কাকদ্বীপ, নামখানা, গঙ্গাসাগর সহ বিভিন্ন এলাকায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের স্বেচ্ছাসেবকরা পৌঁছে গিয়েছেন। সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ জানান, গঙ্গাসাগর আশ্রমের প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী নিবাসের কামরা, কাকদ্বীপ এবং লট এইট আশ্রমের ৫০টি কামরা ও মহেন্দ্রগঞ্জ গ্রামোন্নয়ন কেন্দ্রের ঘরগুলি এবং সুন্দরবন এলাকায় সংঘের শতাধিক স্কুল, মিলন মন্দির গুলিতে দুর্গত মানুষদের রাখার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ওইসব এলাকায় ত্রান সামগ্রী, শুকনো খাবার ও জামাকাপড় ইতিমধ্যেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু রাতে ঝড় আছড়ে পড়ার কথা তাই বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত জেনেরেটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারত সেবাশ্রম সংঘের স্বেচ্ছ

হৃদয় সুরক্ষার সচেতনতা বৃদ্ধি জন্য তিনদিন ব্যাপী দ্বিতীয় কনক্লেভ যৌথভাবে আয়োজন করলো মুকুন্দপুর নারায়ণা হেল্থ ও আর এন টেগোর হাসপাতাল।

Image
শুভ ঘোষ:  কলকাতা ২৪ মে থেকে ২৬ মে ২০২৪ অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূর্ব ভারতে দ্বিতীয় আওর্টিক কনক্লেভ।এই যুগান্তকারী কনক্লেভে যোগদান করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। আওর্টিক শল্য চিকিৎসার উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে পারস্পরিক মত বিনিময় করেন অনুষ্ঠানে ২০০ বেশি গবেষক ও শিল্পো উদ্যক্তারাও অংশ নেন।এই অনুষ্ঠানের মুখ্য আকর্ষণ একটি কর্মশালায় হাতেকলমে এই নয়া প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার সুযোগ ঘটছে।শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে কি করণীয় অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদরা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের শিক্ষা দিচ্ছেন।আগামী প্রজন্মের হৃদ রোগ ও ধমনী সংক্রান্ত সমস্যার মূল কারণ সম্পর্কে সহজে সিদ্ধান্তে আস্তে পারবেন। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ছিলেন ডা: অতনু সাহা ও ললিত কাপুর।কার্ডিয়াক সার্জারির এই দুই প্রবীণ অভিজ্ঞ্যতা সমৃদ্ধ চিকিৎসক।এছাড়াও ছিলেন ডা: প্রদীপ নারায়ণা (চিফ সাইন্টিফিক অফিসার এন্ড সিনিয়র কনসালটেন্ট,কার্ডিয়াক সার্জারি অ্যাডাল্ট ),ডা: শুভ এইচ রায়চৌধুরী(ক্লিনিক্যাল হেডের ডিরেক্টর ও ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজির প্রধান),ডা: অরূপ কুমার ঘোষ(সিনিয়র কনসালটেন্ট ইন কার্ডিয়াক সার্জারি অ্যাডাল্ট) তাঁদের অ

বুদ্ধ পূর্ণিমায় বিশ্বশান্তির বার্তা দিলেন দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা

সুপ্রকাশ চক্রবর্তী:  বিশ্বজুড়ে অহিংসা মানবতা ও অসাম্প্রদায়িকতার বার্তা দিয়েছিলেন যে মানুষটি কলকাতায় সেই জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির পাদদেশে বিশ্ব শান্তির বার্তা দিলেন দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। ২৫৬৮ তম বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সিদ্ধার্থ ইউনাইটেড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার মিশনের উদ্যোগে আজ বুদ্ধ পুর্নিমা উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ২৫৬৮ তম আন্তর্জাতিক বিশাক ডে ও বিশ্ব শান্তি সম্মেলন। সেখানে ভারত ছাড়াও তিব্বত, চীন, মায়ানমার, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম ও অন্যান্য দেশ থেকে বুদ্ধ ভিক্ষুরা এসেছিলেন। সকলে মিলে  গৌতম বুদ্ধের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ব শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন।  এই অনুষ্ঠানে কয়েকশ মানুষ অংশ নেন। সিদ্ধার্থ ইউনাইটেড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার মিশনের সাধারণ সম্পাদক বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো বলেন, বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বজুড়ে যে অশান্তি ও অস্থিরতার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তা থেকে মুক্তি পেতে এবং বিশ্ব শান্তি রক্ষায় গৌতম বুদ্ধের দেখানো পথে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে।

প্রখর দাবদাহ কে উপেক্ষা করে সাধু-সন্তদের প্রতিবাদ

বেবি চক্রবর্ত্তী, কলকাতা:- বাগবাজার নিবেদিতা পার্ক থেকে সাধু - সন্তদের প্রতিবাদী মিছিল  শুরু হয় ভক্ত এবং সনাতন হিন্দুদের পুস্প বৃষ্টি দিয়ে পায়ে হেঁটে শেষ হয় বিবেকানন্দ মিউজিয়াম পর্যন্ত। প্রখর সূর্যের দাবদাহে উত্তপ্ত রোডে কেউ বা খালি অথবা পায়ে হেঁটে নিরিহ সাধু- সন্তদের প্রতিবাদী মিছিল চলে। তাদের মুখে একটাই কথা আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করিনা না। হিন্দু সনাতন ধর্ম রক্ষার্থে আজ আধ্যাত্মিকতা ছেড়ে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল। আরামবাগে লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এদিন স্বামী বিবেকানন্দ মিউজিয়াম এর সামনে প্রকাশ্য জনসভায়  কার্তিক মহারাজ অশ্রুসিক্ত হয়ে বলেন " স্বামী বিবেকানন্দের উক্তি  স্বামীজীর বিদেশ যাত্রাকালে জাহাজে খ্রিস্টান পাদ্রি হিন্দুধর্মের অবমাননা করলে, তিনি রেগে গিয়ে পাদ্রির কলার চেপে ধরে বলেন –  “আমার ধর্মের বিরুদ্ধে আর একটা নোংরা কথা বললে আপনাকে আমি ছুঁড়ে সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দেব। এছাড়াও তিনি আরও মন্তব্য করেন বাড়িতে আপনারা এ্যালসেশিয়ান কুকুর পোষেন কিন্তু পাড়ার মোড়ে বা রাস্তায় পড়ে থাকা খুঁটে খাওয়া কুকুর গুলো

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আইনজীবীদের একাংশ

বেবি চক্রবর্ত্তী, কলকাতা, সোমবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্ট এবং ব্যাঙ্কশাল কোর্টের আইনজীবীদের একাংশ অভিযোগ দায়ের করে হেয়ার স্ট্রীট থানায়। আরামবাগের নির্বাচনী প্রচারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম এবং ইসকন কে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। হিন্দু ভাবানুরাগী থেকে আইনজীবীরা এর প্রতিবাদ শুরু করে। কলকাতা হাইকোর্ট এবং ব্যাঙ্কশাল কোর্টের আইনজীবী সুদীপ্ত রায় এবং অর্ক নাহা প্রমুখ।  আইনজীবী অর্ক নাহা এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য ঘিরে ধর্মীয় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হতে পারে। জ্যোতিবসুর আমলে গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনকে জমি দেওয়া নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনকে সাহায্যের বদলে টালিনালায় বসে বিক্ষোভ করে এর বিরোধিতা করেছিলেন।‌ পরবর্তী কালে সেই জমির ওপর গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের 'বেদী ভবন' তৈরি করা হয় যা সাধারণ জনগণের জন্য। পাশাপাশি স্বামীজির বাড়ির প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি। সেই বাড়ি স্বামীজির ঠাকুর্দা রামমোহন দত্ত তৈরি করান। বর্তমানে রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দের ঐতিহ্যমণ্ডিত পৈতৃক বাড়িটিকে একটি

নাম ব্যবহার করে বিজেপির প্রচার নিয়ে আক্রমণ

সুকন্যা মজুমদারঃ  'মমতা' নাম ব্যবহার করে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছেন বলে মোদীর দিকে অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জোড়া সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। প্রথমে বনগাঁ লোকসভা এলাকায়, পরের সভা ছিল শ্রীরামপুর লোকসভায়।দুই সভা থেকেই বিজ্ঞাপন এ তাঁর নাম ব্যবহার করে বিজেপির প্রচার নিয়ে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য বিজেপি যে বিজ্ঞাপন গুলি বানিয়েছেন তাতে একটি চরিত্রের নাম ' মমতা ' রাখা হয়েছে,সেখানে বলা হচ্ছে ওই চরিত্র যেন বিজেপি তেই ভোট দেন।  বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে 'মোদি জল দেন ' এই কারণে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দলকে বিধেঁছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চতুর্থ দফা লোকসভা ভোটে বাংলা উত্তাল থাকায় বার বার রাজ্যের শাসক দল ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছে সমস্ত দলের প্রার্থীরা। এমনই উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বিঘ্নে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালানো রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের ডিসান হাসপাতাল সফলভাবে বিনামূল্যে ওরাল স্ক্রিনিং স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করে

Image
শুভ ঘোষঃ  কলকাতা,  বুধবার,  ১৫ মে, ২০২৪  কলকাতার নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান,ডিসান হাসপাতাল, বুধবার বিনামূল্যে ওরাল স্ক্রীনিং ক্যাম্পের ক্যাম্পের আয়োজন করে।পূর্ব রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র এর উদ্বোধন করেন।   বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের (৩১শে মে) সম্মানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য মুখের ক্যান্সারের উদ্বেগজনক প্রকোপ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কলকাতার ডিসান হাসপাতালে উদ্যোগে ফ্রি ওরাল স্ক্রীনিং ক্যাম্পটি একটি অপ্রতিরোধ্য সাড়া পেয়েছে,প্রায় ৩০০টি পরিবার স্ক্রীনিং পরিষেবা পায়।অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন ডিসান হসপিটালে ডিরেক্টর শাওলি দত্ত,পূর্ব রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র,ডাঃ আশিস উপাধ্যায়,ডাঃ রামানুজ ঘোষ,ডাঃ সমুজ্জ্বল দাস,ডাঃ শ্রেয়া মল্লিক,ডাঃ অতুল নারারাও রাউত,এবং ডাঃ মনোরঞ্জন চৌহান সহ অঙ্কোলজি এবং ওরাল হেলথ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একটি বিশিষ্ট দল পুঙ্খানুপুঙ্খ স্ক্রীনিং পরিচালনা করে এবং অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ নির্দেশিকা প্রদান করে। তাদের দক্ষতা এবং প্রতিশ্রুত

স্বামীজি ও রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক নিয়ে গীতি আলেখ্য ‘দুই হৃদয়ের নদী’

Image
  সুপ্রকাশ চক্রবর্তীঃ  উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে নব হিন্দু ধর্মের যে জোয়ার বাংলাদেশের দুই কুল প্লাবিত করেছিল, তার মূলে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দ।  জীবন দর্শন ও ধর্মচিন্তায় দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে দুজনেই হিন্দুত্বের জয় গান গেয়েছিলেন। জোড়াসাঁকোর বাড়িতে একজন উৎসাহী সঙ্গীতবিদ হিসেবে নরেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যে আসেন। এত কাছাকাছি থেকেও বিবেকানন্দের জীবদ্দশাকাল পর্যন্ত দুই মহাপুরুষ একে অন্যের সম্পর্কে আশ্চর্যভাবে প্রায় নিরব।   স্বামীজি যতদিন বেঁচে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ নিন্দা বা প্রশংসা কোথাও কোন লিখিত উক্তি করেননি বিবেকানন্দ সম্পর্কে । স্বামীজিকেও রবীন্দ্রনাথ  সম্পর্কে প্রকাশ্যে কিছু বলতে বা লিখতে দেখা যায়নি। অথচ জাপানি মনীষী ওকাকুরা যখন স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে দেখা করেন। স্বামীজি তাকে বলেন, এখানে তো সর্বস্ব ত্যাগ। আপনি রবীন্দ্রনাথের সন্ধানে যান। তিনি জীবনের মধ্যে আছেন। আবার ওকাকুরা যখন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করেন, তিনি বলেন, “ভারতবর্ষকে যদি চিনতে চান তবে বিবেকানন্দ কে জানুন। তাই কবির পদ্মা আর সন্ন্যাসীর গঙ্গা খানিক দূরে একসঙ্গে এগিয়ে দুই খাতে বয়ে গেলেও এই দুজনকে পাশাপা

ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে আজও

Image
পার্থ মুখোপাধ্যায়ঃ প্রায় ১৭৪ বছর আগের কথা- শরতের সকালে মনোরম পরিবেশে লিভারপুল শহরের দুই প্রতিভাবান স্কটিশ ডাক্তার ডেভিড ওয়াল্ডি ( David Waldies) আর জেমন সিম্পসন (James Young Simpson) খোশমেজাজে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। কথা প্রসঙ্গে ওয়াল্ডি তাঁর বন্ধু সিম্পসনকে বললেন ক্লোরোফর্ম জিনিসটাকে ডাক্তারি কাজে মানব শরীরে ব্যবহার করা গেলে খুবই ভালো হবে। ডেভিড সাহেব জানান তিনি এই নিয়ে পরীক্ষাও করেছেন।  এই কথা শুনে উৎসাহিত হয়ে জেমন সিম্পসন নিজেই এই বিষয় একটি বিখ্যাত জার্নালে রিসার্চ পেপার পাবলিশ করলেন। এরপরই গোটা পৃথিবী জুড়ে হৈচৈ পড়ে গেল। সিম্পসন সাহেব খ্যাতির উচ্চ শিখরে পৌঁছলেন। কিন্ত তার প্রতিভাবান বন্ধু কেমিস্ট ডেভিড ওয়াল্ডি রয়ে গেলেন সামান্য এক ফুট-নোট হয়ে ইতিহাসের পাতায়। এই ঘটনার পর তিনি স্বদেশবাসীর উপর রাগে, দুঃখে, অভিমানে ভাগ্যানেশনের জন্য নিজের দেশ ছেড়ে ভারতবর্ষের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন ১৮৫৩ সালে। ভারতে এসে পাঁচ বছর কেমিস্ট হিসাবে কাজ করার পর ১৮৫৮ সালে প্রথম নিজেই প্রতিষ্ঠা করলেন D. Waldies & Co.Ltd। শুরু হলো ভারতবর্ষের মাটিতে প্রথম সালফিউরিক অ্যাসিড আর রেড লিডের উৎপাদন। তিনিই প্রথ