একদিকে রেমাল ঘূর্নিঝড়ের প্রভাব অন্য দিকে লোকসভার আসন্ন তান্ডব লীলায় উতপ্ত রাজ্য থেকে রাজনীতি :-

বেবি চক্রবর্ত্তী, কলকাতা :- আসন্ন লোকসভা সপ্তম দফা ভোটের রাজনৈতিক ঝড়কে উস্কে দিল রেমাল ঘূর্ণির তান্ডব। উত্তর ২৪ পরগনা বারাসাত , বনগাঁ থেকে মেদিনীপুর, কাঁথি, তমলুক থেকে কলকাতা দক্ষিন ২৪ পরগনা, গোসবা ক্যানিং, সুন্দরবন।

কোথাও ভেঙেছে নদীবাঁধ কোথাও ঘরছাড়া গৃহপালিত জন্তু। এছাড়াও প্রচন্ড জলোচ্ছ্বাস এর জেরে আতঙ্কে সুন্দরবনের মাতলা থেকে কাকদ্বীপ। মিনাখাঁ বিধানসভার চৈতল গ্রামের বাসিন্দাদের নদীবাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়া নিয়ে ঘুম উড়েছে চোখের। উত্তর আখড়াতলার বেতনী নদীর জলে জলমগ্ন গোটা গ্রাম তুললেন নদীবাঁধ সংস্কারের দাবী। এদিকে নদীবাঁধ ঘিরে বিজেপির তরফে সন্দেশখালি থেকে মিনাখাঁ এমনকি মথুরাপুর ও জয়নগর লোকসভার বিস্তীর্ণ এলাকার এই নদীবাঁধ নিয়ে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

একদিকে ভোটের গরম হাওয়া দক্ষিণ ২৪ পরগণায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম দফার ভোট ব্যাঙ্কে তাকিয়ে শাসক থেকে বিরোধী শিবির। অন্যদিকে ঝড়ের দাপট পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে কলকাতায় ও জমেছে জল কিছু কিছু মেট্রো ষ্টেশনেও ঢুকছে জল। এখনও জলের তলায় বেহালা থেকে যাদবপুরের একাংশ। সমুদ্রে যেতে নিষেধ জারি হয়েছে মৎস্যজীবিদের মন্দারমনি জুনপুট দীঘা ও শংকরপুরের সমুদ্রে পর্যটকদের সমুদ্রে বা কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে টহল দিচ্ছে পোষ্টাল পুলিশ সক্রিয় হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। 

অপরদিকে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার ইনচার্জ শংকর চ্যাটার্জীর তরফে জানানো হয়েছে প্রতি বছর মে মাস এলেই এই বিপর্যয় চেনা চিত্র এরপর এতো সতর্কবার্তা সত্ত্বেও এই বিপর্যয় মোকাবিলায় ব্যার্থ সরকার। পশ্চিমবঙ্গে আমফানে আমরা দেখেছি ত্রিপল থেকে চাল কত পরিমান ত্রান পশ্চিমবঙ্গে চুরি হয়েছে। এটা আমাদের কাছে লজ্জার ও হতাশার বিপর্যয় চিত্রেও ত্রান পশ্চিমবঙ্গে চুরি হয়েছে।

অন্যদিকে কাঠের গুঁড়ি নিয়ে  বালির বস্তা দিয়ে সমুদ্র জল আটকানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যয় মোকাবিলায় দপ্তর সেখানে উপস্থিত স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শিবা মন্ডল জানিয়েছেন এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ নেই। আমরা চেষ্টা করছি বিপর্যয় মোকাবিলা করতে সবাইকে সবরকম সাহায্য করা হবে। বিজেপির অভিযোগ মিথ্যা ও সারবত্তাহীন। 

স্থানীয় গ্রামবাসী অমল ব্যানার্জী বলেন ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেও শাসক কিছুই করে নী সুন্দরবনের জন্য। এখনও নদীবাঁধ একটা সমস্যা এখানে বিজেপিও একই দোষে দুষ্ট। আমরা আতঙ্কিত অবিলম্বে সুন্দরবনের জন্য মাষ্টার প্ল্যান তৈরী করে এর মোকাবিলা না হলে গোটা গ্রাম তলিয়ে যাবে জলের তলায়। 

আতঙ্কের মাঝে প্রচন্ড গতি নিয়ে রেমালের দাপট দেখল সুন্দরবন থেকে মেদিনীপুরের সমুদ্র সৈকত। আর এই অংশেই হবে লোকসভা নির্বাচনের আগামী সপ্তম দফা তাই রেমাল উসকে দিয়ে গেলো রাজনৈতিক তান্ডব ও কুটকাচালীকেও। এখন সপ্তম দফাতে রাজনৈতিক ঝড়ের গতিবেগ কত থাকে সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

কলকাতা হাইকোটের নির্দেশ অনুযায়ী ....