বেশি বয়সে যারা ভুলে যাওয়ার শিকার যাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, প্রেসক্লাব, কলকাতা, Dignity পথচলা শুরু হয়েছিল বাসনের হাত ধরে দীর্ঘ ২৮ বছর আগে বোম্বেতে অধুনা মুম্বাই-এ সংস্থার নামের মধ্যে লুকিয়ে আছে এর উদ্দেশ্য "মর্যাদা/ সম্মান যারা এতদিন সমাজকে তাদের কাজের
মাধ্যমে সেবা করেছেন এখন তাদের এই পরিণত বয়সে সমাজেরই উচিত তাঁদের পাশে থাকা সেই ভাবনার ফলশ্রুতি এই Dignity Foundation. এই কলকাতাতেই আছে সংস্থার ৪টি শাখা ( ঢাকুরিয়া, বেহালা, বাগুইহাটি ও সল্টলেক)। মূলত অবসর পরবর্তী লোকেরাই এর সদস্য/সদস্যা। তবে সংস্থার গঠনমূলক সমাজসেবার কাজকে ভালোবেসে অনেকেই। এর সদস্যপদ গ্রহন করেছেন যাদের অবসরের দিনের এখনও অনেক দেরি।
এখানে সদস্যরা সব রকম পেশা থেকে এসেছেন। নানান বিনোদন মূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকলে একাকিত্ব ভুলে যান। নুতন করে শেখেন জীবনের পাঠ-যা অন্ন বয়সে করা হয়নি নানান চাপে - সেই গুলোই আবার শেখা শুরু - গান শেখা, নিত্যনূতন রান্না - আবার সুস্থ থাকার জন্য যোগ ব্যয়াম, মাইন্ড ফুলনেস মেডিটেশন, পিকনিক, নানান প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন আরো কত কি ? শুধু নিজেদের ভালো থাকা নয় সদস্যরা শহরে নানান জায়গায় দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী নারী-পুরুষদের রেশনের ব্যবস্থা করেন। আবার যাতে হাতের সহজ কাজের মাধ্যমে রোজগার করতে পারেন তার জন্য শেখান কাজের ব্যাগ তৈরী ইত্যাদি । কলকাতা ডিগনিটির পায়ে পায়ে পেরিয়ে এলো দীর্ঘ ২৪টি বছর। এবার তাদের 'রজত জয়ন্তী' বর্ষ পালনের মুহূর্ত।
এই রজত জয়ন্তী বর্ষে তাদের নিবেদন একটি "Day Care" অত্যন্ত সময়োপযোগী প্রচেষ্টা। বেশি বয়সে যারা ভুলে যাওয়ার শিকার যাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়। সেই সকল মানুষেরা যাতে দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক খুশি নিয়ে কাটাতে পারেন তারই প্রচেষ্টা এই “Day Care".
এর ফলে বাড়ির অন্য সদস্যরা যেমন তাদের নিজেদের কাজ সুস্থ ভাবে, চিন্তামুক্ত ভাবে করতে পারবেন তেমনি তাঁদের ভালোবাসার লোকটিও সবার মাঝে সবার সাথে অর্থপূর্ণ ভালো লাগায় থাকবেন, শুধু নয় অনেক সুরক্ষিত ও থাকবেন, বাড়ীতে কাজের লোকেদের অত্যাচার থেকে মুক্তি ও আর্থিক সাশ্রয় ও হবে। ভবিষ্যতে ডিগনিটি আরো পরিষেবা বাড়াবে ও বাড়ির “কেয়ার গিভার" দের প্রশিক্ষণের ও ব্যবস্থা করবে।
এর ফলে যারা “ডে কেয়ার"-এ আসতে পাড়ছেন না তাঁরাও পরিষেবার আয়ত্বে আসবেন। পরিশেষে বলি Lancet সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে ডিমেনশিয়ার হার কোভিড পরবর্তীতে 187% বাড়বে আগের পরিসংখ্যানের থেকে। সেটা সামনে রেখে এটা বলা যায় যে "Day Care" খোলা একটি অত্যন্ত জরুরী ও আবশ্যিক কাজ হতে চলেছে। “আমাদের ভুলোনা যদি আমরা তোমাদের ভুলে যাই আমাদের brain damage র জন্য”- এই আবেদনে উপযুক্ত সাড়া দিয়েছে Dignity Foundation.
Comments
Post a Comment