কিংস্টন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটটের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল আই বি এম

নিজস্ব সংবাদ দাতাঃ বারাসাত, বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩’ গত এক দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাজগতে  কিংস্টন এডুকেশনাল ইনিস্টিটিউটের একটি বিশ্বাসযোগ্যতার ইতিহাস আছে। রাজ্য জুড়ে ১২৮ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে ডিপ্লোমা স্তরের ছাত্রছাত্রীদের সর্বোচ্চ সংখ্যক সুযোগ করে দেওয়ার অধিকারী কিংস্টন এডুকেশনাল ইনিস্টিটিউট। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই কোর্সগুলির জাতীয় মানের স্বীকৃতির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রতিষ্ঠানের নাম নথিভুক্ত করেছে।

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলকাতা সংলগ্ন এক গ্রামীণ উপকন্ঠে তৈরী। এখানকার সামাজিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে  পিছিয়ে থাকা মানুষ, নব্য শিক্ষিত,সংখ্যালঘু ও সমাজের অনগ্রসর অংশ যাতে উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তিগত ডিপ্লোমা শিক্ষার সুযোগ পায়।যা বাস্তবে সম্ভব হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ উৎপল ভট্টাচার্য ও উমা ভট্টাচার্যের আন্তরিক পদক্ষেপে।

দু দশক আগে শিক্ষাক্ষেত্রে যে চারা গাছ রোপণ হয়েছিল, আজ তা মহীরুহে পরিণত হয়েছে।পলিটেকনিক কলেজ , সায়েন্স ডিগ্রি কলেজ , বি এড কলেজ,ম্যানেজমেন্ট কলেজ, পাঁচ ও তিনবছরের শিক্ষা ক্রমের ল কলেজ সহ একটি আদর্শ স্কুলের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্র গড়ে উঠছে উত্তর ২৪ পরগনার  নীলগঞ্জ, বারাসতে ।এই প্রতিষ্ঠানের আগামী পরিকল্পনায় আছে কিংস্টন জেনারেল হাসপাতাল, কিংস্টন নার্সিং কলেজ , কিংস্টন প্যারামেডিকেল কলেজ ও কিংস্টন মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণের।

আই বি এম টেকনোভেট , আই বি এম দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিল্প পরিবেশ ও প্রযুক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা সম্বন্ধে একটি অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা তাঁদের সঞ্চয়ে রাখা অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে  ভাগ করে নিতে। সফটওয়্যার শিক্ষায় হাতে কলমে কাজ করার সুযোগ থাকায় দক্ষ হয়ে উঠতে শিক্ষাথীরা আকর্ষণ অনুভব করেন।স্বীকৃতিস্বরূপ সেরাদের উৎসাহিত করতে পুরস্কার দেওয়া হয়। 

বৃত্তিমূলক শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এক বাস্তব অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের পরিণত করে গড়ে তোলে।শিক্ষার্থীরা ক্লাউড পরিষেবা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সাংগঠনিক পরিকল্পনা সংক্রান্ত একটি অন্বেষণে নিজেদের যুক্ত করতে পারে। বিশ্বের দরবারে প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে পেশাগত উৎকর্ষতার প্রমাণে যা সহায়ক। এই পথচলার দিনে উপস্থিত ছিলেন আই বি এমের পক্ষে আমন বকসী, কিংস্টনের কর্নধার উমা ভট্টাচার্য,রজত মুঞ্জল ,ভাবনা মুঞ্জল এবং সুমন গুপ্ত শর্মা সহ বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদগণ।

এই বিশেষ শিক্ষাক্রমের পরিকল্পনায়  ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে তা হল পর্যায় ক্রমে...

১) শিল্প পরিবেশ অন্বেষণ২) বিভিন্ন বিভাগে প্রযুক্তিগত প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটি অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করা,৩) দলবদ্ধভাবে বিভিন্ন শিল্প প্রকল্পের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, ৪) শিল্প সংক্রান্ত সফটওয়্যার ও তার সফল প্রয়োগ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নির্মাণ,৫) একটি শিক্ষা প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই হয়ে ওঠা,৬) জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করা,৮) আন্তর্জাতিক  ধারার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পেশাগতভাবে আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠা,৮) এ আই ক্লাউড এবং রূপরেখা চিন্তনের ভিত্তিভূমিতে প্রযুক্তি ও সাংগঠনিক পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরি 

 

 

Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

কলকাতা হাইকোটের নির্দেশ অনুযায়ী ....