খোলা মনে রঙ বেরঙে

 

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সোমবার, ১৫ই মে, ২০২৩’ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় কৃষি মন্ত্রী হাত ধরে ইসিসির, জামিনি রায়, আর্ট গ্যালারিতে উন্মোচিত হল লেখিকা শিল্পী চক্রবর্তী-র রচিত বই খোলা মনে রঙ বেরঙে।বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ বিভাগের দুই যুগ্ম আয়োগ অনুপম হালদার ও পাঞ্চালী মুন্সী সহ অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণী কালী মন্দিরের অছিপরিষদ-এর কর্ণধার কুশল চৌধুরী সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।বাচ্চাদের উপর মোবাইলের দুষ্প্রভাব এই পুস্তকের মূল আলোচ্য বিষয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ ভাবে অভিনন্দিত করা হয় সহস্রাংশু পাত্র-কে। করোনা অতিমারীর সময় লক ডাউন চলাকালীন ভার্চুয়াল মাধ্যমে পঠন পাঠন করতে করতে চোখের পাওয়ার বেড়ে যায় এই পড়ুয়ার। বর্তমানে মোবাইল থেকে সহস্র যোজন দূরে থাকতেই পছন্দ করে এই পড়ুয়া।

লেখিকা শিল্পী চক্রবর্তী-র অনেকদিন থেকেই মনে হচ্ছিল ছোটোদের জন্য কিছু লিখি। ওদের মন ছোঁওয়ার একটু চেষ্টা করি। একটু ওদের কথা জানি। অনেক বিশিষ্ট, গুনী ও সাধারণ ব্যক্তি আমার এই প্রয়াসকে সাধুবাদ দেন ও উৎসাহিত করেন।

লেখিকা শিল্পী চক্রবর্তী-র মনে হচ্ছিল ছোটোরা বোধহয় কোনো বেড়াজালে আটকে গেছে। তাদের সহজাত প্রবৃত্তির বোধহয় সঠিক বহিঃপ্রকাশ হতে পারছে না। এর একটি প্রধান ও অন্যতম কারণ অবশ্যই মোবাইল। শুধুমাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি না করে আমি বেশ কয়েকজন বাচ্চার মতামত বা মনের কথা জানার চেষ্টা করেছি 
এবং তাদের যা বক্তব্য সরাসরি এখানে তুলে ধরেছি। এই ছোটোদের মধ্যে মুম্বাই, কলকাতা থেকে শুরু করে মফস্সল বা গ্রামাঞ্চলের ছাত্র ছাত্রীরাও আছে।
অনুরূপভাবে লেখিকা শিল্পী চক্রবর্তী-র সমাজের বিভিন্ন স্তরের কিছু বিশিষ্ট মানুষের মতামতও (মোবাইল সম্পর্কে) এখানে প্রকাশ করেছে।  তুলে ধরেছি তাদের সুচিন্তিত মূল্যবান বক্তব্য। 
যথারীতি সম্পূর্ণ বাস্তবতার উপর ভিত্তি করেই লেখিকা শিল্পী চক্রবর্তী-র লিখতে চেষ্টা করেছেন কবিতা ও ছড়াগুলি। লেখিকা শিল্পী চক্রবর্তী-র একটাই কামনা বাচ্চাদের প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে সহজাত শিশুমনেরও বিকাশ হোক।

 

 

 

 

 

Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

কলকাতা হাইকোটের নির্দেশ অনুযায়ী ....