নদীর জল স্থানীয় বাসিন্দারা কোনোভাবেই ব্যবহার করতে পারেন না।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ, হুগলি,২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: রবিবার জয় কিষাণ আন্দোলনের হুগলি জেলা ইউনিটের উদ্যোগে ধনেখালি ব্লকের ভোতর গ্রামে নদী দূষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হল। জনসভায় বক্তব্য রাখেন জয় কিষাণ আন্দোলনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভীক সাহা, হুগলি জেলা সভাপতি সুশান্ত কাঁড়ি, স্বরাজ ইন্ডিয়ার জাতীয় পরিষদের সদস্য ভোলা যাদব, রাজ্য সম্পাদক রাম বচ্চন, রাজ্য কোষাধ্যক্ষ ডাঃ রত্না পাল এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ। ধনেখালি ব্লকে নদী দূষণের ফলে ওই অঞ্চলের চার-পাঁচটি গ্রাম বিপন্ন। নদীর জল স্থানীয় বাসিন্দারা কোনোভাবেই ব্যবহার করতে পারেন না। 

দূষণের মূল কারণ হল সর্বমঙ্গলা গ্রামের একটি গেঞ্জি কারখানা। এই কারখানা থেকে অ্যাসিডযুক্ত জল নদীতে পড়ে। কারখানার মালিক পরিশোধন না করে বিষাক্ত জল রাতের অন্ধকারে নদীতে ছেড়ে দেন। এছাড়াও পড়াঙ্কুশ, বাসন্তী ও জয়গুরু – এই তিনটি রাইস মিলের জল থেকে দূষণ ছড়ায়। নদী দূষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষের জমি। এখানে শীতকালীন ফসল যদিও বা চাষ করা সম্ভব হয়, অন্যান্য ফসল একদমই উৎপাদন করা যায় না। দূষণ রুখতে এলাকার গ্রামবাসীরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন শ্রেণীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য কৃষকদের রুজি রোজগার সুরক্ষিত রাখার দাবি এবং পরিবেশ দূষণ বিরোধী পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে রবিবার জয় কিষাণ আন্দোলনের প্রতিবাদ সভা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এদিনের জনসভায় প্রায় ৫০০ জন কৃষক ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন যে অবিলম্বে নদীর দূষণ বন্ধ না হলে বৃহত্তর গণতান্ত্রিক ও শান্তিপ্রিয় প্রতিবাদের মাধ্যমে গেঞ্জি কারখানা ও রাইস মিলের মালিকদের বাধ্য করা হবে নদী দূষণ বন্ধ করতে।


Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

কলকাতা হাইকোটের নির্দেশ অনুযায়ী ....