Posts

মধ্যযুগের শেষের দিকে বাংলার নারী সমাজ :-

কলমে:- বেবি চক্রবর্ত্তী- মধ্যযুগের সাহিত্য ভোগের আবিলতায় মন্থর। তখন অর্থের মানদণ্ডে সমাজে মানুষের মর্যাদা নিয়ন্ত্রিত হত। মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস নষ্ট না হলেও তাতে ফাটল অবশ্যই ধরেছিল। বাঙালী গোষ্ঠীসর্বস্ব জীবন থেকে আত্মসর্বস্বতায় বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। যৌন-ব্যাভিচার, উৎকোচ, নৈতিক শৈথিল্য - মধ্যযুগের সাহিত্যে এই সবের বিপুল আয়োজন দেখতে পাওয়া যায়। সপ্তডিঙা ডুবে গেলে, চাঁদ বেণে চরম বিপর্যয়ের মুহূর্তে বলেছিলেন, “চান্দো বলে অর্ধেক কড়ি বৈসায় খাইবো। আর অর্ধেক কড়ি আমি নটিরে বিলাইবো।” ভারতচন্দ্রের হীরার মুখে শুনতে পাওয়া গিয়েছিল, “বন্ধু নাহি কড়ি বই” কড়ি দিয়ে “বুড়োর বিয়ে হয়”, “কুলবধূ ভুলে কড়ি দিলে।” সেই সময়ের উচ্ছৃঙ্খল প্রবৃত্তির বিকৃত রুচির সদম্ভ প্রকাশ মানুষকে প্রচণ্ড অবক্ষয়ের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। মঙ্গলকাব্যে নারী দেখলেই দেব-মানবের পরিধানের বস্ত্র শ্লথ হয়ে যাচ্ছিল। কৌলীন্য প্রথা, বাল্যবিবাহ, সতীদাহ, সতীন নিয়ে ঘর, বৈধব্য প্রভৃতি নারী জীবনকে জর্জরিত করে তুলেছিল। নারীরা সেই সময়ের সামাজিক ব্যবস্থাকে অস্বীকার করতে পারছিলেন না। কিন্তু তাঁদের মনে ক্ষোভ বিক্ষোভ ফল্গুধারার মত প্রবাহিত...

বর্তমান‌ মানুষের রুচির অবনতি কেন ?

Image
কলমে:- বেবি চক্রবর্ত্তী- ইতিহাস হল সভ্যতার প্রারম্ভ দলিল। বর্তমান সংস্কৃতি মারামারি - লাঠালাঠি - ঝগরা -  গলাবাজি। যুগ আধুনিক কিন্তু মানুষ প্রকৃত আধুনিক মনষ্ক নয় তাহলে পর সমালোচনার চেয়ে দেশের উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে থাকার চেষ্টা করত। রাজনৈতিক ভিন্ন দল- জাতি- ধর্ম। পর সমালোচনায় শুধু সময় অপচয়। "কোনো সার্বিক উন্নয়ন আজ পর্যন্ত কোনো সমালোচনায় হয়েছে বলে আমার জানা নেই ".... মন্তব্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র। মানুষ গুলো কেমন যেন সব বোকাবোকা। দেশ দ্বিখন্ডিত রাজনৈতিকগত ভাবে নির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারিত। সেখানে চব্বিশ ঘণ্টা নিজস্ব সেনা মোতায়েন। তবু কেন অখন্ড ভারতের অলীক কল্পনায় বিরাজমান। সত্যি যদি অখন্ড ভারত আবার আমরা ফিরে পাই, তাহলে ভারত একটি সমৃদ্ধশালী সয়ং সম্পূর্ণ দেশ হবে। দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস যেখানে বর্তমান অতীতের সাথে জড়িত জাতীয়তাবাদ। পুরানো ইতিহাস সম্পদ ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ।  আধ্যাত্মিকতা জ্ঞান হল নিছক বিরক্তি বহু মানুষের। কারণ কর্ম - স্যোস্যাল মিডিয়া- নিউজ একটা বহনকারী চলমান জীবন। উন্নতি প্রগতির প্রতীক কি মানুষ জেনে ও আজ যেন উপেক্ষিত! আধুনিক মনষ্ক এই গতিশীল জীবনের প্রকৃত শিক্ষি...

উত্তর কলকাতায় তিন দিনের ইন্টার কলেজ স্টেট স্পোর্টস অ্যান্ড গেমস চ্যাম্পিয়ানশিপ

Image
সুপ্রকাশ চক্রবর্তীঃ  উত্তর কলকাতা জেলার ইন্টার কলেজ স্টেট স্পোর্টস অ্যান্ড গেমস চ্যাম্পিয়ানশিপ ২০২৩-২৪ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ১ থেকে ৩রা মার্চ।  কলকাতার বাগমারিতে স্কটিশচার্চ কলেজের খেলার মাঠে উত্তর কলকাতার ২৪টি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা প্রায় দশটি স্পোর্টস ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। নব্বই বছরের ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউশন কলেজ  এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।  ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রীদের একটি ছোট ও মনোগ্রাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে প্রতিযোগিতার সূচনা হয়। প্রথম দুদিন ছিল ফুটবল এবং খো-খো টুর্নামেন্ট। তৃতীয়দিন ছিল রান, জ্যাভলিন থ্রো, ডিসকাস থ্রো, শট-পাট,  অ্যাথেলেটিক্স।  পুরষ্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে এই তিন দিন ব্যাপী প্রতিযোগিতার সমাপ্তি হয়। সরকারি পরিদর্শক শ্রীমতী গিরিজা বসু ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস অফিসার রিপ্রেসেন্টেটিভ  চন্ডী কর তিনদিনই মাঠে উপস্থিত ছিলেন।  ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষা ডঃ মৈত্রেয়ী রায় কাঞ্জিলাল বলেন, ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ প্রতিটি ইভেন্টেই চোখে পড়ে। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিযোগিতার পরিচালন...

বৈদ্যুতিক যুদ্ধে উজ্জ্বল নক্ষত্র টেসলা :-

Image
কলমে:- বেবি চক্রবর্ত্তী,   "My brain is only a receiver, in the Universe there is a core from which we obtain knowledge, strength and inspiration. I have not penetrated into the secrets of this core, but I know that it exists" --নিকোলা টেসলা। স্যার থমাস্ আলভা এডিসন এর সাথে কাজ করেন টেসলা। ১৮৮২ সালে ফ্রান্সে তিনি এডিসন এর কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। ১৮৮৪ সালে তিনি এডিসনের নিউইয়র্কের কোম্পানিতে যন্ত্রের কাজে আসেন। তিনি তার প্রাথমিক জীবন তড়িৎ প্রকৌশল হিসাবে শুরু করেন এবং দ্রুত অনেক কঠিন সমস্যার সমাধান করেন।এডিসন এর কোম্পানি থেকে তাকে সরাসরি তড়িৎ জেনারেটরের ডিজাইন বানানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। ১৮৮৫ সালে তিনি দাবি করেন যে তিনি এডিসন এর কোম্পানির অপর্যাপ্ত মোটর, জেনারেটর এর ডিজাইন করে উন্নত করতে পারবেন যা আর্থিক এবং ব্যবসায়িক উভয় দিক থেকে লাভবান হবে। এডিসন তখন টেসলা'কে বলেন যে, যদি তুমি তা করতে পার তাহলে ৫০,০০০ ডলার দেব তোমাকে। তিনি তার কাজ শেষ করেন এবং তার টাকা চান। কিন্তু এডিসন তার জবাবে বলেন যে, তিনি মজা করেছিলেন আর টেসলা আমেরিকার রসিকতা বুঝতে পারে নি।পরবর্তীতে, এডিসন টেসলা...

’‘পারপারা’ হয়ে উঠেছে- ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী।

Image
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  সোমবার ৪ মার্চ ২০২৪, ‘পরম্পারা’ - ‘শিক্ষার্থীদের বার্ষিক প্রদর্শনী ২০২৩-২০২৪’ একাডেমি অফ ফাইন আর্টস (২, ক্যাথেড্রাল রোড, কলকাতা ) এবং গাগানেড্রা সিলপা প্রদারশালা ( ১/১ এ.জে.সি.সি.সি.সি. বোস রোড, কলকাতা, নন্দনের নিকটবর্তী )  জোজেন চৌধুরী এবং শ্রী বিমন বিহারী দাস; আমাদের সম্মানিত অতিথিরা, অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীটি ৫ই মার্চ থেকে ১০ ই মার্চ ২০২৪ অবধি দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।   কলকাতা, সরকারী কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট, উপমহাদেশের প্রাচীনতম এবং সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ ভিজ্যুয়াল আর্টস প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। ১৮৫৪ সালে গারানহাতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক তার শিক্ষার্থীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শন করার একটি tradition তিহ্য বিকাশ করেছিল। শিক্ষার্থীর প্রদর্শনীটি প্রথম ১৮৫৫   সালে, ২২ শে জানুয়ারী থেকে ৩ শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে কলকাতা স্কুল অফ আর্টের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমান প্রদর্শনীটি হেনরি হোভার লকের হেলসম্যানশিপের অধীনে প্রতিষ্ঠানটি সরকারী স্কুল অফ আর্ট নামে পরিচিতি লাভ করতে পারে...

শ্রীল প্রভুপাদের দুষ্প্রাপ্য ছবি, পাণ্ডুলিপি নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম প্রদর্শনী মায়াপুর ইস্কনে

Image
সুপ্রকাশ চক্রবর্তীঃ  বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক গুরু, আচার্য ও গৌড়ীয় মঠের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদের জীবন ও তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে ২০০০ বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে বিশ্বের বৃহত্তম প্রদর্শনী শুরু হল মায়াপুরে ইসকনের ‘টেম্পল অফ বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়ামে’। সারস্বত বৈষ্ণব সমাজের সহযোগিতায় আজ বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী সাজিয়ে তোলা হয়েছে কলকাতার ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে    উল্লেখ্য, ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর প্রভুপাদ গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারে তৎকালীন  ভারতে ৬৪টি মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভারতের বাইরে ব্রম্ভদেশ, জার্মানী এবং ইংল্যান্ডেও গৌড়ীয় বৈষ্ণব প্রচার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।  এর সুবাদে দেশের বাইরেও কৃষ্ণনাম ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে বিশাল প্রদর্শনী খোলা হয়েছে সর্বসাধারণের জন্য। বেশ কয়েক মাস ধরে এই প্রদর্শনী চলবে বলে ইসকন সূত্রে জানানো হয়েছে।  প্রভুপাদের পাণ্ডুলিপি, তাঁর লেখা বই, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পাশাপাশি প্রভুপাদের দুষ্প্রাপ্য ছবিও এই প্রদর্শনীতে ...

বাংলায় স্টাডি ম্যাটেরিয়াল চালু করলো আকাশ ইন্সিটিউট।

Image
শুভ ঘোষ-  শুক্রবার,   কলকাতা, ২৯ফেব্রুয়ারি,২০২৪: সর্বভারতীয়মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেশের অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান আকাশ,পশ্চিমবঙ্গের নিট (ইউজি)পরীক্ষার্থীদের জন্য বাংলা মাধ্যমে স্টাডি ম্যাটেরিয়াল  প্রকাশ করে দেশব্যাপী অন্যন্য নাজির স্থাপন করলো। আকাশের দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে আয়োজিত লঞ্চ ইভেন্টে পদার্থবিদ্যা,রসায়ন,উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান এবং প্রকল্পের সাথে জড়িত অন্যান্য সিনিয়র সদস্যরা বাংলা সংস্করণে স্টাডি ম্যাটেরিয়াল উন্মোচন করেন।আজকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে,ন্যাশনাল একাডেমিক ডিরেক্টর- নীট ডিভিশন শ্রী নবীন কার্কি বলেন,বহুদিন ধরে  শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলায় কোনো জাতীয় ব্র্যান্ড থেকে উপযুক্ত স্টাডি ম্যাটেরিয়াল এর চাহিদা ছিল কারণ অনেক শিক্ষার্থী বাংলায় নিট (ইউজি)লিখতে পছন্দ করে।১৯৮৮ সাল থেকে বিদ্যমান আকাশ,এই উদ্যোগটি গুরুত্বের সাথে নিয়েছে।বিশেষজ্ঞ দলের এক বছরের ও বেশি পরিশ্রমের পর,আমরা এটি সম্ভব করতে পেরেছি।আমি নিশ্চিত যে এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের নিট (ইউজি)প্রস্তুতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।গত বছর,পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১,...