বর্তমান মানুষের রুচির অবনতি কেন ?
মানুষ গুলো কেমন যেন সব বোকাবোকা। দেশ দ্বিখন্ডিত রাজনৈতিকগত ভাবে নির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারিত। সেখানে চব্বিশ ঘণ্টা নিজস্ব সেনা মোতায়েন। তবু কেন অখন্ড ভারতের অলীক কল্পনায় বিরাজমান। সত্যি যদি অখন্ড ভারত আবার আমরা ফিরে পাই, তাহলে ভারত একটি সমৃদ্ধশালী সয়ং সম্পূর্ণ দেশ হবে। দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস যেখানে বর্তমান অতীতের সাথে জড়িত জাতীয়তাবাদ। পুরানো ইতিহাস সম্পদ ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ।
আধ্যাত্মিকতা জ্ঞান হল নিছক বিরক্তি বহু মানুষের। কারণ কর্ম - স্যোস্যাল মিডিয়া- নিউজ একটা বহনকারী চলমান জীবন। উন্নতি প্রগতির প্রতীক কি মানুষ জেনে ও আজ যেন উপেক্ষিত! আধুনিক মনষ্ক এই গতিশীল জীবনের প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ কই ! প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বহু মানুষই শিক্ষিত। এই রুচির নমুনা দেখলেই বোঝা যায়। প্রেম হল পবিত্র।
আধুনিক প্রেম বট বৃক্ষের মত অজস্র ঝুড়ি না।বাথরুমে স্নান - প্রেমের কবিতা - প্রেমের মুভি, সমুদ্রে স্নান - বই থেকে বিরত। নিউজ পেপার থেকে পিছিয়ে। আধ্যাত্মিকতা যে নিয়মে মানুষকে বেঁধে রাখে তা নিয়মশৃঙ্খলে আমাদের পরিচালিত করে। এখন ও অনেক মানুষ আছে যারা বিজ্ঞান আধুনিক মনষ্ক বিশ্বাস নিঃশ্বাস কে বিশ্বাস করতেই হবে। পাহাড় -পর্বত- নদী কিভাবে সৃষ্টি? অথবা ইলেকট্রন - প্রর্টোনে শক্তি কিভাবে এল ? কোন শক্তি কিভাবে কাজ করছে তাঁর ব্যাখা হয়ত অনেকেরই অজানা।ভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে ভিন্ন মতবাদ পাবে । ঈশ্বর বিদ্যমান।
আমার সবাই সমালোচক কিন্তু সেই সমালোচনায় যোগ্য সমতুল্য কিনা জানিনা। অন্ধকারে আলো না থাকলে হোঁচট খেতে পারে। প্রত্যেকটা জীব একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। বিজ্ঞানীরা চাঁদে যেতে পারে, পর্বতে আরোহন করতে পারে কিন্তু নিয়ম কে বা প্রকৃতি কে কোন ও শক্তি দিয়ে পরাস্ত করতে পারে না।পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে বিজ্ঞান কি পারবে সূর্য কে পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরাতে। না ! নিয়মের বাইরে আমরা কেউই নয়। ঈশ্বর বিদ্যমান। সদা - সর্বদা বিরাজমান। মানুষের মধ্যে রয়েছে পূর্ণতা --- দেবত্ব। প্রতিটি কাজে, চিন্তায় যখন সেই পূর্ণতা , সেই দেবত্ব যখন প্রকাশ পায় --- তখনই সেই কাজ, সেই চিন্তা হয়ে ওঠে 'ইতিবাচক'- এর পূর্ণরূপ।
আজকের যুব সমাজ বিজ্ঞানের আলোকে দূর ঠেলে অন্ধকারকে গ্রহণ করছে। হিন্দু - খ্রিষ্টান - মুসলমান - শিখ- বৌদ্ধ - জৈন্য। প্রত্যেকটি ধর্ম ইতিহাসের ওপর দাঁড়িয়ে। যুগ যুগ ধরে কত ঝড় - ঝাপটা উপেক্ষা করে নিজ পথে দাঁড়িয়ে। যেন একই নদীর ভিন্ন ঘাট।
আজকের জ্ঞানী-গুণি যুব সমাজ সয়ং ঈশ্বরকে ও সমালোচনা করতে ছাড়ে না। এরা জানে না সমালোচনার যোগ্য সমতুল্য কিনা! জীবন যেন এখন হাতের মুঠোয়। মোবাইলে সময় অতিবাহিত ঘন্টার পর ঘন্টা। "মোবাইলে খতিকারক রে" যা মানব শরীরে ক্যানসার চিকিৎসায় কাজে ব্যবহৃত হয়। বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ। প্রত্যেক ক্রিয়াই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। একবার ভাবুন সেই রে অর্থাৎ মোবাইল চব্বিশ ঘণ্টাই হাতের কাছেই রাখছি। মোবাইলে রে এর প্রভাবে যেখানে গাছে ছোট চরুই পাখি দেখা যায় না। গাছের ডাবে ফলন পাওয়া যায় না। সেই ফলন সংখ্যা কম হলেও নারিকেল গাছের প্রথম ফলন ডাবের গায়ে কালো কালো দাগ থাকে। যখন প্রকৃতির তৈরি সবুজ রঙে দাগ আনতে পারে তাহলে মানব শরীরে কি প্রভাব ফেলতে পারে অসুখ- বিসুখের। এটা কোনো গল্প না সত্যি। তবে যাইহোক বর্তমান এই খুব সমাজ অবক্ষয়ের পথে সথিত সাংস্কৃতিক রুচি কিছু মানুষের অবনতির পথে। চাই মানুষের সম্পূর্ণ সচেতন - বই পড়া - পেপার পড়া - নিজ নিজ ধর্মের আধ্যাত্মিকতা পালন করা। এই আধ্যাত্মিক বোধে মানসিক শান্তি আনে জীবনকে নিয়মের মধ্যে বেঁধে রাখে। শিঙ্খলাহীন জীবন হয় বিনাশের কারণ। যেখানে সয়ং প্রকৃতি নিয়মের মধ্যে চলে। যদি দিন -রাত না হয়, অর্থাৎ যেদিন সূর্য উদয় না হয় আমাদের কি ভালো লাগে ? না! নিয়ম - সব নিয়মের ব্যাখা হয় না। পাহাড় -পর্বত- ঝর্না - সমুদ্র কিভাবে সৃষ্টি হল ! বিজ্ঞান বলবে জলবায়ু ভেদে কিন্তু কে তৈরি করলো ? প্রকৃতি কিভাবে সৃষ্টি হল ? কে সৃষ্টি করল এত সুন্দর প্রকৃতি? কেন তৈরি করলো? এই জন্য স্বামী বিবেকানন্দ বলছেন এই স্বদেশ আমাকে বন্ধু দিয়েছে, পরিবার দিয়েছে, কাজ দিয়েছে, সম্মান দিয়েছে, মাতৃভূমিতে জন্ম দিয়েছে! এই স্বদেশ কি আমাদের জননী নয়!এই স্বদেশ অর্থাৎ দেশের উন্নতির কথা আমাদের ভাবা দরকার। স্বার্থপরতাই হল মৃত্যু সমতুল্য। মানবিকতা হীন বিবেক বর্জিত সমাজ সম্পত্তি - ধন - দৌলত কি মৃত্যুর পর সাথে নিয়ে যেতে পারবে ?..... না! তোমার কাজ থাকবে ভালোবাসার - বিবেক - স্মৃতি টুকু পড়ে থাকবে। সবাই এখানে নিজেদেরকে বোদ্ধা মনে করে কিন্তু সবাই এখানে আমারা জীবন যোদ্ধা।গরিবেরা করে প্রতি নিয়ত যুদ্ধ বেঁচে থাকার লড়াই - মধ্যবিত্তরা করে একে অপরের সমালোচনায়, দিন পার করে আর পুঁজিবাদী মানুষ শাসক সম্প্রদায় ধনী থেকে দিনে দিনে ধনশালী হয়। এরা কাউকেই তোয়াক্কা করে না! না সমালোচক - না সমালোচনা। বিচার - বুদ্ধি - বিবেচনা দ্বারা চিন্তা শক্তি সুদীর্ণ কর! বর্তমান সমাজে যেন মানুষের রুচির অবনতি।
Comments
Post a Comment