প্রেক্ষাপটে ধ্যানের প্রাসঙ্গিকতা "ব্যক্তিগত জীবনে আনন্দ ও সুখ"

স্থান: প্রেস ক্লাব কলকাতা- শানিবার, ১ নভেম্বর ২০১৫, কলকাতায় অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওশোর ছোট ভাই দ্বার্থী শৈলেন্দ্র সরস্বতী বলেন, আজকের ভতয়ারীও জীবনে মানুষ সর্বদা বাহিরমুখী হয়ে ছুটছে সাফল্য, সম্পদ, সম্পর্ক ও সামাজিক মর্যাদার খোঁজে।

কিন্তু ওশো আমাদের সারণ করিয়ে দেন যে, যদি কেউ নিজের অন্তর্মুখী যাত্রা শুরু না করে, তাহলে প্রকৃত অানন্দ ও সুখ আজন অসম্ভর বাহ্যিক সমলা কেবল অস্থায়ী আনন্দ দেয়, অথচ ধ্যান আমাদের অন্তরের শান্তি ও স্থায়ী পরমানন্দের দ্বার উন্মুক্ত ক

 


স্বামী শৈলেন্দ্র সরস্বতী বলেন।

"ওশের মতে, ধ্যান কোনো কাজ নয়, বরং এক ধরনের অবস্থা এমন এক অবস্থা যেখানে মন সম্পূর্ণ শান্ত ও সচেতন থাকে। যখন কেউ ধান করে, তখন সে উস্থা, আকাঙ্ক্ষা ও অহংকারের উর্ধ্বে উঠে নিজের সত্য সত্তার সঙ্গ…

স্থান: মেওয়ার ব্যাংকোয়েট হল, ডাউন টাউন মল, IB 177 & 178, ৭ম তলা, এবি রোড, আইবি ব্লক, সেক্টর ৩, বিধাননগর,

কলকাতা-৭০০১০৬

তারিখ: ২ নভেম্বর, ২০২৫, সময়: বিকেল ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত

যোগাযোগের জন্য:  স্বামী এস. সি. দুবে- ১৮৩০০৭০৭৯০, মা প্রেম বন্দনা- ৯৫৪০০০৪৩৩৮

 

স্বামী শৈলেন্দ্র সরস্বতী আধুনিক যুগের আধ্যাত্মিক শিক্ষক, লেখক ও ধ্যান-গাইড, যিনি ভগবান শ্রী রজনীশ (ওশো)-এ নিজাত কξε ব্যাখ্যা ও ধ্যানের মাধ্যমে আয়-উপলব্ধির বাস্তবধর্মী উপস্থাপনার জন্য পরিচিত।

ওশোর ছোট ভাই হিসেবে, তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন ওশোর দর্শনকে সহজ, অভিজ্ঞতামূলক ও বৈজ্ঞানিক রূপে আধুনিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে।

চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ভারত ও বিদেশে ধ্যান শিবির ও বাড়ন্তার মাধ্যমে হাজারো মানুষকে সচেতনতা ও আনন্দময় জীবনের পথে পরিচালিত করেছেন।

বক্তৃতার বিষয়বস্তু

১) খ্যানের পদ্ধতি ও তার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ

২) সচেতন ও আনন্দময় জীবনযাপনের শিল্প

৩) মন, অহং ও আবেগ বোঝার উপায়

৪) ওশোর শিক্ষার অন্তদৃষ্টি

৫) দৈনন্দিন জীবনে আধ্যাহিকতা

৬) অন্তর্গত শান্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের পথ

 

সমাজে অবদান

 

স্বামী শৈলেন্দ্র সরস্বতীর অবদান হলো ধ্যানের মাধ্যমে মানুষকে নিজের অন্তর্গত শক্তি ও শান্তির সাঙ্গে যুক্ত কারা।

তার উদ্যোগ “ Living in the your Inner Self জীবন ও সম্পর্কের প্রতিটি ক্ষেত্রে সচেতনতার চর্চা কে জোর দেয়।

তার নির্দেশনায়  বহু মানুষ মানসিক চাপ উদ্বেগ ও অন্তদন্দ কাটিয়ে জীবনকে আরো সুষম ও আনন্দময় করে তোলেন।

তিনি ধ্যান প্রশিক্ষণ মডেল তৈরি, আধ্যাত্মিক সাহিত্য প্রকাশ ও ধ্যান প্রশিক্ষকদের দিকনির্দেশনায়  ও সক্রিয় তার জীবনে সরলতা,

সহানুভূতি ও স্বচ্ছতার প্রাতিক - যা অসংখ্য মানুষ কে নিজের চেতনা অনুসন্ধান অনুপ্রাণিত করে।

মূলমান্ত্রঃ অন্তরে ফিরো সর্বশ্রেষ্ঠ বিপ্লব শুরু হয় নিজের চেতানা ভিতর থেকে।

 

ওশো রজনীশ- সচেতনতা ও অন্তর্গত স্বাধিনাতা শুরু

ভগবান শ্রী রজনীশ, যিনি বিশ্বজুড়ে ওশো নামে পরিচিত, চিলেন এক বিপ্লবী আধ্যাত্মিক গুরু ও মরমী, যার অন্তদৃষ্টি ২০শ শতকে খাস, প্রেম ও মানব চেতনার ধারণাকে রূপান্তরিত করেছিল।

 

১৯৩১ সালে ভারতের কুচওয়াড়ায় জন্মগ্রহণ করা ওশোর শিক্ষা ধর্ম ও প্রমার সীমা অতিক্রম করে- তিনি প্রত্যেক ব্যক্তিকে সচেতনতা, উদযাপন ও ধ্যানের মাধ্যমে নিজের অন্তর্গত সত্য অন্বেষণের আহ্বান জানান।

 

ওশো জোর দিয়ে বলেন, আধ্যাত্মিকতা মনে সংসার ত্যাগ নয়, বরং পূর্ণ সচেতনতার সঙ্গে জীবন উদযাপন করা। তাঁর বক্তৃতা গুলিতে ছিল অসাধারণ বৈচিত্র্য- বুদ্ধ, কৃষ্ণ, যিশু, লাও হজু-র শিক্ষাদান থেকে শুরু করে মনোবিজ্ঞান, শিল্প, রাজনীতি ও বিজ্ঞান পর্যন্ত।

 

শিক্ষা ও দৃষ্টিভঙ্গি

১) ধ্যান: অন্তর্গত স্বাধীনতা ও আহ-উপলব্ধির পদ

২) প্রেম, হাসি ও সচেতনতা। আনন্দময় জীবনের ভিত্তি

৩) মন, অহং ও সংস্কার অতিক্রম করা।

৪) বর্তমান মুহূর্তে সম্পূর্ণভাবে বাঁচা

৫) প্রাচ্য আধ্যাত্মিকতা ও পাশ্চাত্য মনোবিজ্ঞানের সমন্বয়

 

বিশ্বব্যাপী অবদান

ওশোর কাজ লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন স্পর্শ করেছে। তাঁর বক্তৃতা, ধ্যান-প্রযুক্তি এবং ৭০টি ভাষায় অনূদিত ৬০০টিরও বেলি গ্রথ ধ্যানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

ভারতের পুনেতে অবস্থিত ওশো মেডিটেশন রিসট ধ্যান, সৃজনশীলতা ও উদযাপনের এক আন্তর্জাতিক কেন্দ্র। তাঁর ডাইনামিক মেডিটেশন ও কুণ্ডলিনী মেডিটেশন শারীরিক গতিকে গভীর নীরবতার সঙ্গে যুক্ত করে, যাতে আধুনিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনে সচেতনত অনুভব করতে পারে।

ওশোর বার্তা চিরন্তন - স্বাধীনতা, প্রেম ও ধ্যানকে জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করা।

মূলমন্ত্র: "নিজেরই আলো হয়ে ওঠো।"

Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

'দরবারী পদাবলী'-তে গুরু-শিষ্য পরম্পরার অনবদ্য নজির কলকাতায়