প্রেক্ষাপটে ধ্যানের প্রাসঙ্গিকতা "ব্যক্তিগত জীবনে আনন্দ ও সুখ"
কিন্তু ওশো আমাদের সারণ করিয়ে দেন যে, যদি কেউ নিজের অন্তর্মুখী যাত্রা
শুরু না করে, তাহলে প্রকৃত অানন্দ ও সুখ আজন অসম্ভর বাহ্যিক সমলা কেবল অস্থায়ী আনন্দ
দেয়, অথচ ধ্যান আমাদের অন্তরের শান্তি ও স্থায়ী পরমানন্দের দ্বার উন্মুক্ত ক
স্বামী শৈলেন্দ্র সরস্বতী বলেন।
"ওশের মতে, ধ্যান কোনো কাজ নয়, বরং এক ধরনের অবস্থা এমন এক অবস্থা
যেখানে মন সম্পূর্ণ শান্ত ও সচেতন থাকে। যখন কেউ ধান করে, তখন সে উস্থা, আকাঙ্ক্ষা
ও অহংকারের উর্ধ্বে উঠে নিজের সত্য সত্তার সঙ্গ…
স্থান: মেওয়ার ব্যাংকোয়েট হল, ডাউন টাউন মল, IB 177 & 178, ৭ম তলা,
এবি রোড, আইবি ব্লক, সেক্টর ৩, বিধাননগর,
কলকাতা-৭০০১০৬
তারিখ: ২ নভেম্বর, ২০২৫, সময়: বিকেল ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত
যোগাযোগের জন্য:  স্বামী এস. সি.
দুবে- ১৮৩০০৭০৭৯০, মা প্রেম বন্দনা- ৯৫৪০০০৪৩৩৮
স্বামী শৈলেন্দ্র সরস্বতী আধুনিক যুগের আধ্যাত্মিক শিক্ষক, লেখক ও ধ্যান-গাইড,
যিনি ভগবান শ্রী রজনীশ (ওশো)-এ নিজাত কξε ব্যাখ্যা ও ধ্যানের মাধ্যমে আয়-উপলব্ধির বাস্তবধর্মী
উপস্থাপনার জন্য পরিচিত।
ওশোর ছোট ভাই হিসেবে, তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন ওশোর দর্শনকে সহজ,
অভিজ্ঞতামূলক ও বৈজ্ঞানিক রূপে আধুনিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে।
চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ভারত ও বিদেশে ধ্যান শিবির ও বাড়ন্তার
মাধ্যমে হাজারো মানুষকে সচেতনতা ও আনন্দময় জীবনের পথে পরিচালিত করেছেন।
বক্তৃতার বিষয়বস্তু
১) খ্যানের পদ্ধতি ও তার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ
২) সচেতন ও আনন্দময় জীবনযাপনের শিল্প
৩) মন, অহং ও আবেগ বোঝার উপায়
৪) ওশোর শিক্ষার অন্তদৃষ্টি
৫) দৈনন্দিন জীবনে আধ্যাহিকতা
৬) অন্তর্গত শান্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের পথ
সমাজে অবদান
স্বামী শৈলেন্দ্র সরস্বতীর অবদান হলো ধ্যানের মাধ্যমে মানুষকে নিজের অন্তর্গত
শক্তি ও শান্তির সাঙ্গে যুক্ত কারা। 
তার উদ্যোগ “ Living in the your Inner Self জীবন ও সম্পর্কের প্রতিটি ক্ষেত্রে
সচেতনতার চর্চা কে জোর দেয়। 
তার নির্দেশনায়  বহু মানুষ মানসিক
চাপ উদ্বেগ ও অন্তদন্দ কাটিয়ে জীবনকে আরো সুষম ও আনন্দময় করে তোলেন। 
তিনি ধ্যান প্রশিক্ষণ মডেল তৈরি, আধ্যাত্মিক সাহিত্য প্রকাশ ও ধ্যান প্রশিক্ষকদের
দিকনির্দেশনায়  ও সক্রিয় তার জীবনে সরলতা,
সহানুভূতি ও স্বচ্ছতার প্রাতিক - যা অসংখ্য মানুষ কে নিজের চেতনা অনুসন্ধান
অনুপ্রাণিত করে। 
মূলমান্ত্রঃ অন্তরে ফিরো সর্বশ্রেষ্ঠ বিপ্লব শুরু হয় নিজের চেতানা ভিতর
থেকে।
ওশো রজনীশ- সচেতনতা ও অন্তর্গত স্বাধিনাতা শুরু 
ভগবান শ্রী রজনীশ, যিনি বিশ্বজুড়ে ওশো নামে পরিচিত, চিলেন এক বিপ্লবী আধ্যাত্মিক
গুরু ও মরমী, যার অন্তদৃষ্টি ২০শ শতকে খাস, প্রেম ও মানব চেতনার ধারণাকে রূপান্তরিত
করেছিল।
১৯৩১ সালে ভারতের কুচওয়াড়ায় জন্মগ্রহণ করা ওশোর শিক্ষা ধর্ম ও প্রমার সীমা
অতিক্রম করে- তিনি প্রত্যেক ব্যক্তিকে সচেতনতা, উদযাপন ও ধ্যানের মাধ্যমে নিজের অন্তর্গত
সত্য অন্বেষণের আহ্বান জানান।
ওশো জোর দিয়ে বলেন, আধ্যাত্মিকতা মনে সংসার ত্যাগ নয়, বরং পূর্ণ সচেতনতার
সঙ্গে জীবন উদযাপন করা। তাঁর বক্তৃতা গুলিতে ছিল অসাধারণ বৈচিত্র্য- বুদ্ধ, কৃষ্ণ,
যিশু, লাও হজু-র শিক্ষাদান থেকে শুরু করে মনোবিজ্ঞান, শিল্প, রাজনীতি ও বিজ্ঞান পর্যন্ত।
শিক্ষা ও দৃষ্টিভঙ্গি
১) ধ্যান: অন্তর্গত স্বাধীনতা ও আহ-উপলব্ধির পদ
২) প্রেম, হাসি ও সচেতনতা। আনন্দময় জীবনের ভিত্তি
৩) মন, অহং ও সংস্কার অতিক্রম করা।
৪) বর্তমান মুহূর্তে সম্পূর্ণভাবে বাঁচা
৫) প্রাচ্য আধ্যাত্মিকতা ও পাশ্চাত্য মনোবিজ্ঞানের সমন্বয়
বিশ্বব্যাপী অবদান
ওশোর কাজ লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন স্পর্শ করেছে। তাঁর বক্তৃতা, ধ্যান-প্রযুক্তি
এবং ৭০টি ভাষায় অনূদিত ৬০০টিরও বেলি গ্রথ ধ্যানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
ভারতের পুনেতে অবস্থিত ওশো মেডিটেশন রিসট ধ্যান, সৃজনশীলতা ও উদযাপনের এক আন্তর্জাতিক কেন্দ্র। তাঁর ডাইনামিক মেডিটেশন ও কুণ্ডলিনী মেডিটেশন শারীরিক গতিকে গভীর নীরবতার সঙ্গে যুক্ত করে, যাতে আধুনিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনে সচেতনত অনুভব করতে পারে।
ওশোর বার্তা চিরন্তন - স্বাধীনতা, প্রেম ও ধ্যানকে জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করা।
মূলমন্ত্র: "নিজেরই আলো হয়ে ওঠো।"


Comments
Post a Comment