কেন্দ্রীয় শাংসাপত্র প্রাপ্ত বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার অব্যবস্থা :- (কিছু সরকারি চিকিৎসকদের রাজ যখন হয়ে ওঠে কসাই)

বেবি চক্রবর্ত্তী:- চিকিৎসা পরিষেবায় গাফিলতি। চিকিৎসাধীন রুগির লাইন না থাকলেও এখানকার চিকিৎসকেরা সময়ের আগেই বেরিয়ে যান আবার রুগির লম্বা লাইন থাকলে সময় হয়ে গেল চিকিৎসকেরা পরিষেবা বন্ধ করে দেন। তখন এমার্জেন্সি একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে এখানকার সাধারণ স্থানীয়দের। কিন্তু  সেই এমার্জেন্সিতেও সবসময় থাকেনা সিনিয়ার চিকিৎসকেরা এমনটাই অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে এই হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে আছে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য। যে চিকিৎসকদের স্থানীয়রা ভগবানের রূপে পূজা করে সেখানে কিছু চিকিৎসকদের রাজ সাধারণ গরিব পরিবারের ওপর কসাই এ পরিণত হয়েছে। আসুন একবার দেখাই এখানকার চিকিৎসা পরিষেবা.........!

বেড়াল - কুকুর - কামড়ালে আঁচড়ালে আপনাকে ভেকসিন নিতে গেলে..! সকাল দশটা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত। পরিষেবার বারোটা বাজিয়ে এখানকার চিকিৎসকদের রাজ চলে ... রাস্তা দিয়ে খুঁজে খুঁজে ধরে আনতে হবে বেড়াল - কুকুরে কামড়ানো ব্যাক্তি বা রুগি তবেই আপনি পাবেন এখানকার নার্স কিংবা চিকিৎসকদের কাজ থেকে ভ্যাকসিন...! অন্যথা আপনাকে প্রাইভেট দেখাতে হবে..! এখানকার চিকিৎসকেরাই বলে থাকেন...!

এখন প্রশ্ন উঠেছে কেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলবেন প্রাইভেটে দেখাতে ..! এটা কি কোন হাসপাতাল চিকিৎসক বলতে পারেন..? সময়ের আগে কেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বেরিয়ে যাবেন..? বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালের সুপার এর সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু তিনি করেননি।

একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের অগচরে চলছে যেন হীনমন্যতা...! সরকারি হাসপাতালগুলিতে ক্রমশ বাড়ছে চিকিৎসার অব্যাবস্থা। ঘাস- পদ্ম - হাত- কাস্তে - হাতুড়ি- সবাই লাগে এক যখন রাজ সিংহাসনে চলে অন্যায়ের  লড়াই..! অন্যদিকে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে চলে চিকিৎসকদের রাজ...!

ইউ এস জি টেস্ট - ব্লাড টেস্ট করতে গেলে দু- মাস পর ডেট পাওয়া যায়। এমার্জেন্সিতে ভর্তি হতে হবে...! তাহলে একদিন পর রিপোর্ট পেয়ে যাবেন নাহলে জুতোর সোল ছেঁড়ার অবক্ষয় রাখে না..!

 আপনারাই বলুন স্থানীয়রা নিকটবর্তী হাসপাতালে পরিষেবা চাইতে নিতে গেলে তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে দুই মাস পর রিপোর্ট..!

প্রশ্ন উঠছে এরা কারা...? ভুলে যায় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে আসা ডাক্তার - নার্সরা..! সেবার ব্রত নিয়ে হয় জনসমক্ষে ভগবান হয়েছে..! জনসমক্ষে যে চিকিৎসক হবে ভগবান তাঁর ব্যবহার পরিষেবা দেবে তাঁর পরিচয়। এই জনসমক্ষে দেখা ভগবান যখন অশ্রুসিক্ত রুগির পরিবারেরকে করে অসভ্য আচরণ। দোহাই দেয় বেসরকারি হাসপাতালের ঘটি - বাটি- নিলামে দিয়ে চিকিৎসা নাও তবেই পাবে ভদ্র ব্যবহার। কিন্তু কথায় আছে ব্যবহার হয় মানুষের পরিচয়। তবে যাইহোক একদিকে রাজ্যের সুশাসনের অজুহাতে গণতন্ত্রের লড়াই অন্যদিকে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে কিছু চিকিৎসকদের রাজ ..! এরাই আবার মুখে রাজ্য সরকার কে গালাগালি করে..! নিজেরাই করে চলে চিকিৎসায় রাজ। চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রুগীর কসাই..! এখন সরকারি হাসপাতালেও। এই দুই এর মাঝে হাসপাতালে সাধারণ চিকিৎসা নিতে আসা রুগীদের অধিকার কসাই ...!


Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

'দরবারী পদাবলী'-তে গুরু-শিষ্য পরম্পরার অনবদ্য নজির কলকাতায়