বন্ধ হয়ে গেল কলকাতার শতাধিক বছরের পুরনো বিস্কুট ব্রিটনিয়া কারখানা:-

বেবি চক্রবর্ত্তী, কলকাতা, ২৪ জুন ২০২৪:- বন্ধ হয়ে গেল স্বাধীনতার ৭৭ তম বছরে। কলকাতার তারাতলার কারখানাটি। সোমবারই সেই ঘোষণা করেছে ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ়। এই মুহূর্তে ওই কারখানায় চাকরি করা কর্মীদের বসিয়ে দেওয়া হলো। সকলেই তা গ্রহণ করেছেন বলেও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে বাংলায় চাকরি নেই, শিল্পের অভাব বলে আক্রমণ করতেই থাকে বিরোধীরা। তার ঝাঁজ আরও বাড়বে কারণ বাংলায় বন্ধ হয়ে গেল আরও এক কারখানা।তারাতলার ব্রিটানিয়া কোম্পানিতে আর তৈরি হবে না বিস্কুট!  কলকাতার বুকে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে থাকা এই কারখানার কাজ বন্ধ হয়ে গেল।বিপুল জনপ্রিয় এই বিস্কুটের ব্র্যান্ড। কিন্তু আজকাল আর লাভের মুখে দেখছিল না ব্রিটানিয়া। সেই কারণেই তারাতলার কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কর্মীদের একাংশের দাবি।তবে কারখানার সমস্ত স্থায়ী কর্মীদের এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি এবং দেওয়া হবে বলে কোনও আশ্বাস দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

  কর্তৃপক্ষ। সোমবার তারা কাজে গিয়ে হঠাৎ করেই কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখতে পান। তবে জানা গেছে, স্থায়ী কর্মীদের ১৩ লক্ষ টাকা থেকে ২২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিয়েছে তারাতলার ব্রিটানিয়া কোম্পানি। ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করা কর্মীরা সবথেকে বেশি টাকা পেয়েছেন, ২২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। ছ থেকে দশ বছরের নীচে যারা চাকরি করেছে, তাঁদেরকে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। আর তারও কম সময়ে যারা কর্মরত ছিল তারা ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে পেয়েছে। ১২২ জন স্থায়ী কর্মীর পাশাপাশি বর্তমানে এই কোম্পানিতে ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মী ছিলেন।

দেশের অন্যতম বড় খাবার প্রস্তুতকারী সংস্থা ব্রিটানিয়া এবং পশ্চিমবঙ্গে তাদের তৃতীয় বৃহত্তম মার্কেট। বছরে ৯০০ কোটি টাকার বেশি লাভ করে এই কোম্পানি। তবে তারাতলার কারখানা বন্ধ হলেও বিস্কুট উৎপাদনের কাজে কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না বলে কোম্পানির এক আধিকারিক দাবি করেছেন। জমির লিজ রিনিউ হওয়ার ৬ বছরের মধ্যে কেন তারাতলার কারখানা বন্ধ হল, তার স্পষ্ট উত্তর মিলছে না।

Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

'দরবারী পদাবলী'-তে গুরু-শিষ্য পরম্পরার অনবদ্য নজির কলকাতায়