বিষ্ণু মাল খুনে ঐতিহাসিক রায় দিলেন মহামান্য চুঁচুড়াআদালত
বেবি চক্রবর্ত্তী: হুগলী :- চুঁচুড়ার যুবক বিষ্ণু মাল খুনে ঐতিহাসিক রায় দিলেন মহামান্য আদালত, ৭ জনের ফাঁসি ১ জনের ৭ বছরের সাজা , প্রায় ৪ বছর আগে নৃশংস ভাবে খুন হয়ে যান চুঁচুড়ার রায়বেড়ে এলাকার বিষ্ণু মাল নামে এক যুবক। খুন করে শরীরের টুকরো টুকরো দেহাংশ চারিদিকে ফেলে দেওয়া হয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। চুঁচুড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস দলবল নিয়ে ওই যুবককে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। মামলার বিচার পর্ব চলেছে চুঁচুড়া আদালতে।পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর বিষ্ণুকে তাঁর বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।তার পরে চাঁপদানি এলাকার একটি বাড়িতে তাঁকে খুন করে দেহ ছ’টুকরো করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়।পরে বিশালকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ৩ পুলিশ কর্মী। দির্ঘ ৪ বছর ধরে হুগলি চুঁচুড়া জেলা সদর আদালতে মামলা চলার বিষ্ণু মালের হত্যাকাণ্ডের ৯ জনকে ২৫ তারিখ দোষী সাব্যস্ত করলেন মহামান্য আদালত , আজ ২৮ তারিখ সাজা ঘোষনার দিন নির্ধারিত করা হয়েছিল আদালত থেকে, আজ মহামান্য আদালত হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস ও তার দলের ৬ জন সদস্য রাজকুমার প্রামাণিক, রতন ব্যাপারী, বিনোদ দাস, বিপ্লব বিশ্বাস, রামকৃষ্ণ মণ্ডল, রথীন সিংকে ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। অপর এক আসামি মান্তু ঘোষকে ৭ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। মোট ৯ জন দুষ্কৃতী মিলে পেশায় টোটো চালক এক যুবককে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিল।এই হত্যাকাণ্ডে শেখ মিন্টু আগেই রাজসাক্ষী হওয়ায় ছাড়া পেয়ে গিয়েছিল।কয়েক বছর আগে টোটন জেলে থাকাকালীন তার দাদাকে খুন করে নিজের আধিপত্য বিস্তার করে। এরপর থেকে খুন, তোলাবাজি, মস্তানি সবেতেই পুলিশের খাতায় প্রথম সারিতে ছিল বিশাল। টোটন বিশ্বাসের দাদাকে হত্যা করার কয়েক মাসের মধ্যে হুগলি জেলার বলাগড় এলাকায় দুই গোষ্ঠীর গ্যাং ওয়ারে বিশাল-সহ আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তী কালে দীর্ঘদিন জেলও খাটে। জেল থেকে বেরিয়েই আবার অপরাধ জগতে ফিরে যায় বিশাল।
Comments
Post a Comment