সমাধি মন্দির প্রতিষ্ঠা সমারোহ


বেবি চক্রবর্ত্তী:- ১০জুলাই, রথের দড়িতে টান পড়া মানে ঢাকের কাঠির শব্দ- কাশফুলের দোল দূর্গা পূজার আগমনী। মা শব্দে যেন মন শুদ্ধ হয়। মা যেন সবার। আর ধরাধামে আসার কয়েক মাস বাকি এই চিরাচরিত রথযাত্রার পর।

৮ জুলাই নদীয়া মায়াপুরে শ্রী চৈতন্য গৌড়ীয় মঠে সমাধি মন্দির সহ কলশ এবং শ্রীবিগ্রহ প্রতিষ্ঠা মহামহোৎসব। এখানে প্রায় ১৬০ বছরের পূর্বের অতীত দুর্লভ চিত্র প্রদর্শনী হয়েছিল ৩রা জুলাই থেকে ৮ জুলাই পূর্বাহ্ন ৮ টা থেকে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত।

জগদগুরু শ্রীমৎ ভক্তিদ্বৈত মাধব গোস্বামী এবং পরম গুরু ‌শ্রীমৎ ভক্তি বল্লভ তীর্থ গোস্বামী মহারাজ এর সমাধি মন্দিরের উদ্বোধন ও তাদের পূর্ণাবয়ব মূর্তি প্রতিষ্ঠা সমারোহ। ৭ ই জুলাই রথের দিন ছিল শ্রী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা। এছাড়াও মাঠের পাশেই সুবিশাল প্রাঙ্গণে অস্থায়ী মঞ্চে হয়েছিল বিভিন্ন ধর্মকথা ও ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান। 

এই উপলক্ষে প্রায় কুড়ি হাজার ভক্ত প্রতিদিন মঠ প্রাঙ্গনে ভিড় জমান এবং প্রত্যেকের জন্য ছিল দুবেলা প্রসাদের আয়োজন। বর্তমান মঠের অন্যতম প্রচারক ত্রিদন্ডী স্বামী ভক্তি বিবুদ্ধ মুনি মহারাজ বলেন যে পদ্ম আকৃতির এই মন্দির কোনো বিশেষ ব্যক্তির কর্তৃক দ্বারোদঘাটন হয়নি। 


এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগত সাধু সন্তরা সম্মিলিতভাবে এই পবিত্র কাজটি সুসম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি আরও জানান যে ' আজ থেকে প্রায় ১২৫ বছর আগে শ্রীশ্রী জগতগুরু ভক্তি দয়িত মাধব গোস্বামী মহারাজ এই মঠের প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে দেশের ২৪ টি স্থানে এই মঠের শাখা রয়েছে।' এক কথায় বলতে হয় যে ধর্মীয় মতানুসারে সচ্চিদানন্দ লাভের মাধ্যমে পরমধামের পরম আনন্দ গ্রহণ করতেই ভক্তগণ হরেকৃষ্ণ মন্ত্রচ্চারণের মধ্য দিয়ে আকুল হয়ে জীবনে অগ্রসর হন।


Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

'দরবারী পদাবলী'-তে গুরু-শিষ্য পরম্পরার অনবদ্য নজির কলকাতায়