চিন্তায় পড়ে গেছে শ্বশুর-শাশুড়ি থেকে মৎস্যজীবীরা :-
সুনন্দা বিশ্বাস :- প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে চলে। প্রকৃতির খামখেয়ালি পনাই ইলিশ মাছ নিয়ে চিন্তায় শ্বশুর শাশুড়ি থেকে মৎস্যজীবীরা পর্যন্ত।
ভোজন রসিক বাঙালি মাছে ভাতে থাকে। বাঙালির প্রিয় মাছ ইলিশ। সারা বছর অপেক্ষায় থাকে সেই ইলিশ মাছ খাওয়ার জন্য বাঙালি। কিন্তু এবছর প্রাকৃতিক খামখেয়ালিতে চিন্তিত সকলেই। সামনেই আসছে জামাইষষ্ঠী। জামাই আদর জামাইষষ্ঠীতে শশুর শাশুড়ির এই এক পুরনো রেওয়াজ। পাশেই জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের পাতে পড়বে না ইলিশ?! তা নিয়ে চিন্তিত শুধু মাছ বিক্রেতারা নয় ,- স্বয়ং শশুর শাশুড়িরা।
এবছর দেখা যায় এপ্রিল থেকেই তেতে উঠতে শুরু করে উত্তর ভারত ও মধ্য ভারত। প্রবল তাপপ্রবাহ মানুষকে নাজেহাল করে দেয়। শুকিয়ে যায় নদী নালা পুকুর। মাইলে পর মাইল দেখা যায় শুষ্কতা। ধুধু প্রান্তর। শুষ্ক বায়ু উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে উপরে। প্রত্যুত্তরে ভারত মহাসাগরের উপরে তৈরি হতে থাকে প্রবল আলোড়ন। ওই শূন্যতা ভরাট করতে মহাসমুদ্রের উপর দিয়ে ধেয়ে যায় এ প্রবল শক্তিশালী ঝোড়ো বাতাস।
আবহবিকার নাম দিয়েছেন দক্ষিণ পশ্চিমে মৌসুমী বায়ু। ফেরার পথে মহাসাগর থেকে প্রবল জলীয় বাষ্প সঙ্গে নিয়ে এসে হিমালয় এবং উত্তর পূর্ব ভারতের উচ্চভূমিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রবল বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে। যাকে সাধারণ ভাষায় বর্ষা বলা হয়।
কথার কথা এই যে সেই বর্ষার কিন্তু দেখা মিলছে না। পরম প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাপমাত্রা। সমুদ্র হোক বা নদীতে ইলিশ আদেও কতটা মিলবে তা নিয়ে মৎস্যজীবীদের কপালে হাত। চিন্তা থেকে বিরত নেই স্বয়ং মাছ বিক্রেতা থেকে শশুর শাশুড়িরা।
Comments
Post a Comment