কসবায় অ্যাক্রোপলিশ মলে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ

বেবি চক্রবর্ত্তী:- পার্কস্ট্রিট  পর শহরে ফের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। কসবায় অ্যাক্রোপলিস মলের চতুর্থ তলে আগুন। চতুর্থ তলেই রয়েছে ফুড কোর্ট, বুক স্টোর। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন। দিনের ব্যস্ত সময়ে অ্যাক্রপলিস মলে ছিল যথেষ্ট ভিড়। 

কসবার এই মলে রয়েছে একাধিক দোকান, পাশাপাশি রয়েছে অফিস। আর দশটা দিনের মতোই এদিনও খুলেছিল মল। চলছিল, কেনা-বেচা দোকানপাট গুলিতে। অফিসগুলিতেও নির্দিষ্ট সময়েই শুরু হয়েছিল কাজ। কিন্তু আচমকাই সব থমকে যায়। আগুন লাগার খবর জানতেই শুরু হয় নিচে নামার তোড় জোড়। এদিকে বাইরে বেরনোর সিঁড়ি খালি নেই, আবর্জনা ভর্তি, নামতে অসুবিধা হচ্ছে, অভিযোগ মলের কর্মীদের। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই ছবি তুলতে গেলে সংবাদমাধ্যমকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  

আগুন লাগার খবর পেতেই ইতিমধ্যেই একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। অক্সিজেন মাস্ক পরে ভিতরে ছুটে ঢোকেন দমকল কর্মীরা। মল খালি করে দিয়েছে দমকল বাহিনী। ভেন্টিলেশন চালু রাখতে কাঁচ ভেঙে দিয়েছে দমকল বাহিনী।  ভিতরে থাকা সবাইকে বের করে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। 

মলের কর্মীদের নিয়ে এসে রাখা হয়েছে পাশের গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। এই ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেছেন যে 'পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।' অ্যাক্রোপলিস মলের অংশটুকু ইতিমধ্যেই ব্যারিকেড করে ঘিরে রাখা হয়েছে। যাতে বাইরে থেকে কেউ এই মুহূর্তে বিপদজ্জনক অংশে ঢুকে না পড়ে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে আগুন নেভানোর কাজ। কিন্তু প্রথমে আগুন লেগেছে যে অংশে সেখানে পৌঁছনো যাচ্ছিল না, পরে ল্যাডারের সাহায্য সেই অংশ পৌঁছতে সফল হন দমকল কর্মীরা। এরপরেই ওই অংশের ভেন্টিলেশন স্বাভাবিক রাখতে ভেঙে ফেলা হয় কাচ।অবশেষে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।


Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

'দরবারী পদাবলী'-তে গুরু-শিষ্য পরম্পরার অনবদ্য নজির কলকাতায়