জীবনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন কিন্তু
মনোজ দাঅঃ বিশ্ব কবি গুরুদেবের ১৬৪ তম জন্মদিন সারা দেশ সারা রাজ্য জুড়ে গুরুদেবকে স্মরণ করা হচ্ছে তার পাশাপাশি পানিহাটি ছাতুবাবুর বাগানবাড়ি। আজ যার পরিচিত নাম পেনেটির বাগানবাড়ি রবীন্দ্রনাথ জীবনের প্রথম জোড়াসাঁকর বাইরে পা রেখেছিলেন মাত্র এগারো বছর বয়সে যখন সারা কলকাতা জুড়ে প্লেগ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ সেই সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা তাকে কলকাতার বাইরে প্রথম বাড়ির বাইরে বের হন ১৮৭২ সালের ১৪ই মে এবং এই পেনেটির বাগানবাড়িতে ছিলেন ৩০ শে জুন পর্যন্ত প্রায় ৪৮ দিন এরপরে দ্বিতীয়বার রবীন্দ্রনাথের পানিহাটিতে আগমন ঘটে ৫৮ বছর বয়সে ১৯১৯ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে যখন জালিওনাবাগের গণহত্যার পরে দেশের অগ্নিগর্ভ ও ঐতিহাসিক পরিস্থিতির পটভূ ভূমিকায় ঐতিহাসিক নাইট উপাধি বর্জন করবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং তার চিঠির ড্রাফ কপি তৈরি করেন এই বাড়িতে বসে সাথে ছিলেন প্রশান্তচন্দ্র মৌলানাবিস তৃতীয়বার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পানিহাটিতে আগমন ঘটে ৭২ বছর বয়সে ১৯৩৩ সালের পাঁচই মার্চ এই হোমের একটি মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে এবং সেই দিন উনি আমরো বৃক্ষ রোপন করেছিলেন এবং চতুর্থবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আগমন ঘটে ১৯ ৩৪ সালের ৮ই আগস্ট। ৭৩ বছর বয়সে উনি আসেন বাসন্তী কটন মিল উদ্বোধন করতে সেই সময় তার সাথে ছিলেন প্রশান্ত চন্দ্র মৌলানাবিস আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এরপর তিনি সেখান থেকে এই প্যানিটি ভবনে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সারা জীবনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন কিন্তু ১১ বছর বয়সে জোড়াসাঁকো ছেড়ে এই বাড়িতে আসার যে ইতিহাস উনি বার বার লিখেছেন বিভিন্ন জায়গায় ১৯৪১ সালে ৩১ শে জানুয়ারি ১১ বছর বয়সের প্রথম দেখা এই বাড়ির ছবি আরোগ্য কবিতায় তুলে ধরেছেন সেই ঐতিহ্য মন্ডিত রবীন্দ্রনাথের বারবার পদধূলিতে ধন্য পানিহাটির পূর্ণ মাটি যা আজ গোবিন্দ হোম বলে পরিচিত সেই গোবিন্দ হোমে প্রায় ৩৮ বছর ধরে একইভাবে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন নাচে গানে আবৃত্তিতে মধ্যে দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো হয়, দুর্ভাগ্য হলেও সত্য এবছর পৌরসভার পক্ষ থেকে রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মালা দেওয়ার জন্য একটুও মালা আনার ব্যবস্থা করতে পারেনি উপস্থিত রবীন্দ্র প্রেমী মানুষেরা তারা তাদের নিজের পয়সায় মালা এনে রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। এই গোবিন্দ হোম বা ছাতুবাবুর বাগানবাড়ি রবীন্দ্রনাথের পদধূলিতে ধন্য জায়গা হেরিটেজ ঘোষণা করা হয় বামফ্রন্ট সরকারের সময় তখন বামফ্রন্ট পরিচালিত পানিহাটি পৌরসভার সহযোগিতায় আজ এই গোবিন্দো হোম বা ছাত্রবাবুর বাগানবাড়ি হেরিটেজ একটি জায়গা প্রত্যেক বছরের মতো এবছরও পানিহাটির অঞ্চলের সমস্ত রবীন্দ্র প্রেমিক মানুষ সকালবেলায় এই পেনেটি ভবনে উপস্থিত হয়ে রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো হয় গানে আবৃত্তিতে নাচের মধ্যে দিয়ে
Comments
Post a Comment