ঘটা করে মোদী পুজো কলকাতায়,পুজো করলেন মহিলা মডেলরা

সুপ্রকাশ চক্রবর্তীঃ মেয়েদের নানা ফ্যাশনেবল পোশাক বা মিনিস্কার্ট নিয়ে  আজকাল অনেকেই সমালোচনা করে থাকেন। অথচ কয়েক হাজার বছর আগে তৈরি কোনারকের মূর্তিতেও এই মিনিস্কার্ট পরিহিতা নারীমূর্তির নিদর্শন পাওয়া যায়। অর্থাৎ কয়েক হাজার বছর আগেও ফ্যাশন সম্পর্কে মূর্তিকারদের মধ্যেও যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। আজ ভারত সারা বিশ্বের ফ্যাশনের দুনিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এক  অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করে ভারতীয় ফ্যাশন কে স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

আর তাতেই খুশি ফ্যাশন জগতের সঙ্গে যুক্ত ছেলেমেয়েরা। তারা অনেকেই প্রধানমন্ত্রীকে শুধু ধন্যবাদ দিয়েই ক্ষান্ত থেকেছেন তা নয়, কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীকে ফ্যাশন দুনিয়ার গুরু মেনে তাঁর পুজো শুরু করে দিয়েছেন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। রীতিমতো মতো ষোড়শোপচারে  প্রধানমন্ত্রীর ছবি সামনে রেখে ফ্যাশানের পোশাকে ফুল, ফল,মিষ্টি ও নৈবেদ্য সাজিয়ে ‘গুরু’ হিসাবে প্রধানমন্ত্রীকে পুজো ও আরতি করলেন কলকাতার দুই মডেল হেমশ্রী ভদ্র ও সন্নতি মিত্র।

কলকাতায় মডেলদের উদোগে এই ‘মোদী পুজো’ দেখতে উপস্থিত ছিলেন অন্য উঠতি মডেলরাও।

হেমশ্রী জানান, তার কাছে এটা শুধু নরেন্দ্র মোদীর জয় নয় ভারতীয় সংস্কৃতির জয়। এতদিন ভারতের প্রাচীন ফ্যাশন সংস্কৃতির সেই সব নিদর্শন যেন কলকাতা মিউজিয়ামে ও পুরনো মন্দিরে অশ্রুপাত করছিল। মোদীজী সেই উদাহারণ তুলে ধরে সেগুলিকে স্বীকৃতি দিলেন।

আমাদের দেশের  বুদ্ধিজীবীরা বার বার বিদেশের ফ্যাশান নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেন অথচ ভারতের সংস্কৃতি, ভারতের ফ্যাশান কত‌ উন্নত কতখানি আধুনিক ও উৎকর্ষ তার মধ্যে রয়েছে সে বিষয়ে একটি বাক্যও কোনদিন বিদেশে মাটিতে খরচ করেন না।

সন্নাতি মিত্র জানান,

ভীষণ গর্বিত বোধ করছি এমন এক সময় জন্মে যখন আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি ও সভ্যতা ফ্যাশন নিয়ে আবার কথা হচ্ছে। ছোটবেলা থেকে ভাবতাম এগুলো নিয়ে কথা হয় না কেন। আজ প্রধানমন্ত্রী নিজে ভারতীয় ফ্যাশানকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন। খুব ভালো লাগছে। নিজেদের ধন্য মনে করছি।

Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

'দরবারী পদাবলী'-তে গুরু-শিষ্য পরম্পরার অনবদ্য নজির কলকাতায়