ভোটের থাবা এবার পঠন পাঠনে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পড়ুয়াদের শিক্ষার অধিকার।

সুকন্যা মজুমদারঃ বৃহস্পাতিবার,  মার্চ,২০২৪, এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতি সরগরম লোকসভা ভোট নিয়ে।সেই ভোটের বলি রাজ্যের পড়ুয়ারা। লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্টা এখনও পর্যন্ত ঘোষণা না হলেও মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রবেশ করেছে বিভিন্ন জেলায়।তাদের থাকার জায়গা হিসেবে সরকারি স্কুল গুলি ঠিক হওয়ায় পড়ুয়ারা পড়েছে বিপাকে। সেনা বাহিনীর থাকার ফলে ক্লাস রুম গুলি এখন সেনা দের দখলে। কাজেই লেখাপড়া শিকে উঠেছে। এই নিয়ে অভিভাবকের এক অংশ প্রতিবাদ ও করেছেন। স্কুল কর্তিপক্ষ বলছেন তাদের কাছে কোনো রকম নোটিশ ছাড়াই সেনা বাহিনীর থাকার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও শিক্ষা দফতরকে এ নিয়ে চিঠিও দিয়েছে শিক্ষক সংগঠন,মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি।

বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষকরা জানাচ্ছেন স্কুল গুলি তে ক্লাস রুম পরিষ্কারের কাজ হওয়ায় পড়াশোনা আপাততো বন্ধ।কিন্তু এভাবে আর কতদিন ? প্রতিবার ভোটের আগে সেনা বাহিনীর থাকার জায়গা হিসেবে সরকারি স্কুল বেছে নেওয়ার ফলে ছাত্রছাত্রীরা বিপাকে পড়ছে। 

পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণীর প্রথম ক্রমিক মূল্যায়ন এপ্রিলের প্রথমেই হওয়ার কথা।তার আগে মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক, একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা, স্পোর্টস, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এইসব নানান কারণে পঠন পাঠন ব্যহত হয়েছে।এবার আসন্ন নির্বাচন কে কেন্দ্র করে আবারও স্কুল বন্ধ রাখা হলে সিলেবাস শেষ করা কঠিন হবে,সাথে পড়ুয়াদের পড়াশোনার আগ্রহ কমতে পারে।এত বার নিয়মিত পড়াশোনায় বাধা পড়লে তাদের মানসিক দিক বিপর্যস্ত হবে দাবি অভিভাবক থেকে শিক্ষক সমিতির। কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার জন্য সরকারি অডিটোরিয়াম,ক্লাব,গেস্ট হাউস,কমিউনিটি সেন্টার জাতীয় জায়গায় ব্যাবস্থা করা যেতে পারে।

করোনা পর থেকে গ্রমাঞ্চলের স্কুলগুলিতে ছাত্র ছাত্রীর অবস্থা খারাপ,তার পরেও যদি বারবার স্বাভাবিক পঠনপাঠনে ভাটা পরে, পড়ুয়ারা সশরীরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে না পারে, তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেই দাবি শিক্ষা মহলের।

Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

কলকাতা হাইকোটের নির্দেশ অনুযায়ী ....