কেন্দ্রীয় সরকারকে বারংবার চিঠি দেওয়া হলেও

 

দীপ মিস্ত্রী: কলকাতা, সোমবার ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ গঙ্গাসাগর মেলার ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে সাগরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্য প্রশাসন শীর্ষকর্তাদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক সারেন। 

স্বাধীন দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সাগর যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে রাজ্য সরকার কাকদ্বীপের বুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু তৈরির জন্য বিস্তারিত প্রকল্পের উপর নির্দেশ দিয়েছেন।সেই রিপোর্ট হাতে আসার পর খরচের পরিমাণ সহ অন্যান্য বিষয়ে খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

পাশাপাশি করলেন একগুচ্ছ প্রকল্পের  উদ্বোধনও।যার মধ্যে আছে সাগর ব্লকে  ছয়টি  পানীয় জল প্রকল্প। যাতে উপকৃত হবে ব্লকের ৮৪৯৫ টি পরিবার। দু'কোটি একাত্তর লক্ষ টাকা ব্যয়ে নামখানা ব্লকের সীমা বাধ  ফুট ব্রিজ সেতু। পাথর প্রতিমা ব্লকের বেগমপুর  গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গা সেতু।

ব্যায় হল সাত কোটি ৫০ হাজার টাকা।মোহনপুর ও দক্ষিণ দুর্গাপুর মৌজার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে এই ব্রিজটি। যার ফলে উপকৃত হবেন এলাকার পঞ্চাশ হাজার মানুষ।এর সাথে সাথে মুখ্যমন্ত্রী যান সাগরের ভারত সেবাশ্রম সংঘে। 

সেখানে তিনি গ্রামীন মহিলা স্বনির্ভর প্রকল্পের উদ্ভোধন করেন। সংঘের সাগর শাখা প্রধান জিতথমানন্দ মহারাজ জানালেন প্রায় তিন হাজার স্বেচ্ছা সেবক আশ্রমের পক্ষ থেকে সাগর মেলায় পরিষেবার নিয়োজিত থাকবে।

 

মুখ্যমন্ত্রী সাগর মেলায় "আলোর বর্ণমালা" তৈরি হয়ে যাওয়ার কথাও জানান। এর পর মুখ্যমন্ত্রী কপিল মুনির মন্দির পরিদর্শন করেন। হেমন্ত মহারাজকে পাশে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দেখা করেন মোহন্ত জ্ঞানদাস মহারাজের সঙ্গে। 

মুখ্যমন্ত্রী আশ্রম প্রাঙ্গনে জানান যে মেলাকে সফল করে তোলার জন্য যা যা দরকার সরকার তার সব কিছু ব্যবস্থাই করেছে। "আমরা চাই এই মেলাকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক ঐতিজ্যের স্মৃকৃতি দিক" । এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাগর সফরে উপস্থিত ছিলেন মুখ সচিব বি পি গোপালিকা, মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও হরিকৃষ্ণ দ্রিবেদী। 

জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা, সাগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা, জেলা সভাধিপতি নীলিমা বিশাল মিস্ত্রি, পুলিশ আধিকারিক স্মৃদ্ধিনাথ গুপ্তা, ডিজি রাজীব কুমার , জ্ঞানবন্থ সিং, আকাশ মেঘড়িয়া সহ প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক কর্তা ব্যাক্তিরা।

এই সেতু তৈরি এবং মেলাটিকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দাবি জানান এবং রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে বারংবার চিঠি দেওয়া হলেও এখনও কোন উত্তরও মেলেনি, কেন্দ্রীয় সরকার কিছুতেই এই মেলাকে জাতীয় মেলার স্মৃকৃতি দিচ্ছে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাজ্য সরকারই এই মেলার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে চলেছে।

 

Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

'দরবারী পদাবলী'-তে গুরু-শিষ্য পরম্পরার অনবদ্য নজির কলকাতায়