তেইশ শতকে ধর্ম ও বিজ্ঞানের সংযোজন :-
কলমে :- বেবি চক্রবর্ত্তী- বিজ্ঞানী নিলস বোরের পরমাণু মডেলের মাধ্যমে "শিবলিঙ্গ" বিশ্লেষণ করলে, তিনটি খাঁজ আসলে পরমাণুর তিনটি উাপাদান— প্রোটন, নিউট্রন ও ইলেকট্রনের প্রতীক হিসেবে চিত্রায়িত করা যায়। এই তিনটি উপাদান দিয়েই তৈরি হয়েছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। অর্থাৎ ব্রহ্মাণ্ডের গঠনের প্রতীক হল শিবলিঙ্গ।
লিঙ্গ শব্দের অর্থ সংস্কৃতে ‘চিহ্ন বা প্রতীক’। "লয়ং যাতি ইতি লিঙ্গম্"- অর্থাৎ যাঁর মধ্যে সমস্ত কিছু লয় প্রাপ্ত হয়, তাই লিঙ্গ। লিঙ্গ শব্দটির উৎপত্তি সৎস্কৃত লিঙ্গম্ শব্দ থেকে যার অর্থ প্রতীক বা চিহ্ন। এতে প্রত্যেক শব্দের মূল শব্দ বা ধাতু 'শিব" শব্দ সিদ্ধ হয়| "বহুল-মেতন্নিদর্শনম্" এই প্রমাণ হইতে "শিবু" ধাতু মানা যায়। যিনি কল্যাণস্বরূপ এবং কল্যাণকর্ত্তা এরূপ পরমেশ্বরের নাম "শিব" হইয়াছে। শিব শব্দের অপর একটি অর্থ হল যাঁর মধ্যে প্রলয়ের পর বিশ্ব নিদ্রিত থাকে; এবং লিঙ্গ শব্দটির অর্থও একই – যেখানে বিশ্বধ্বংসের পর যেখানে সকল সৃষ্ট বস্তু বিলীন হয়ে যায়।
কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে কাজ করার সময় এরভিন শ্রোডিঙ্গার ও নীলস বোর দুজনেই বেদান্ত নিয়ে উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে নীলস বোর বলেছিলেন, " আমি উপনিষদ পড়ি উত্তর খোঁজার জন্য" শিব হলো সাব-এটমিক বস্তুর (ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন) চেয়েও ক্ষুদ্রতর আবার মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় বস্তুর চেয়েও বৃহত্তর। এছাড়াও ভাগবত পূরাণের ১-৫ নং শ্লোকে পরমাণুর গঠন ও মহাবিশ্বের সৃষ্টিতে পরমাণুর ধারণা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
শিবলিঙ্গ হচ্ছে একটা পরমাণু। বিষ্ণু হচ্ছে পজিটিভ চার্যযুক্ত প্রোটন, ব্রহ্মা নেগেটিভ চার্যযুক্ত ইলেকট্রন এবং শিব নিরপেক্ষ (চার্যবিহীন) নিউট্রন। যেহেতু শিব চার্যবিহীন নিউট্রন তাই তিনি শান্ত ও ধ্যানাবস্থায় থাকেন। তিনি শান্ত থাকা বলতে পরমানুর স্ট্যাবিলিটি বুঝায়। লিঙ্গের চারপাশে গোলাকার চাকতির মত অংশকে শক্তিস্তর বলে। এই শক্তিস্তরকে রেনুকা (রেনু) ও রুদ্রাণী বলে। রেনুকা শিবের ভাব ও রুদ্রাণী হলো রুদ্রের ভাব। এই শক্তিস্তর হচ্ছে মহাবিশ্বের প্রকৃতি।
শিবের সাথে সমশক্তি নিয়ে অবস্থান করেন বিষ্ণু। লিঙ্গের চারপাশে ঘূর্ণায়মান শক্তিস্তরে (প্রকৃতি) ঋণাত্মক চার্জ নিয়ে অবস্থান করে ব্রহ্মা। শ্রীবিষ্ণুর নাভীমূল থেকে বের হওয়া পদ্মে অবস্থান করে ব্রহ্মা এটা দিয়ে বুঝানো হয়েছে বিষ্ণুর চারপাশে সমচার্য (সমশক্তি) সম্পন্ন অসংখ্য ব্রহ্মা (ইলেকট্রন) তথা ব্রহ্মাণ্ড। অর্থাৎ মহাবিশ্বে যত ব্রহ্মাণ্ড আছে বিষ্ণুর পজিটিভ চার্জও তত। আমরা জানি অনু গঠনে প্রধান ভুমিকা রাখে ইলেকট্রন তাই ব্রহ্মাকে বলা হয়ে সৃষ্টিকর্তা। বিষ্ণু পজিটিভ চার্জ নিয়ে পরমাণুর ব্যালেন্স করে তাই তিনি স্থিতিকর্তা।
শিবের চারপাশে রেনুকার স্থলে যখন রুদ্রাণী অবস্থান করে তখন শিবের রুদ্ররুপের প্রকাশ ঘটে অর্থাৎ নিউট্রন ভেঙে মহাবিনাশী নিউক্লিয়ার ফিশন শুরু হয়। রুদ্রাণী হলো ধ্বংসাত্মক প্রকৃতি তথা শিবের রুদ্ররুপের কারণ। এজন্যই শিবের রুদ্ররূপকে বলা হয় সংহারকর্তা।
অর্থাৎ শিবলিঙ্গ হচ্ছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডেরই প্রতিকীরূপ তথা পরমেশ্বরের পূর্ণপ্রতীক। একটা শিবলিঙ্গ দ্বারাই মহাবিশ্বের সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশকে সঙ্গায়িত করা যায়।
এবার দেখা যাক বেদ কি বলে-
“সর্বপ্রথম কিছুই ছিল না, একেবারে কিছুই না। একমাত্র পরমেশ্বর ছিলেন আত্মারূপে, চিহ্ন বর্জিত। তার মধ্যে ইচ্ছার(সংস্কৃতে কাম/কামনা) সৃষ্টি এবং তা হতে সকল কিছুর সৃষ্টি।“
(ঋগ্বেদ মণ্ডল-১০, সুক্ত-১২৯ - নাসদীয় সুক্তম্)
অর্থাৎ প্রথমে সবকিছু একস্থানে ঘনীভূত ছিল যা হতে সব উৎপন্ন হয়েছে। এবং এই জিনিসটিকেই ঈশ্বরের প্রথম চিহ্ন ধরা হয় যাকে লিঙ্গ বলে, যা স্বয়ং ‘স্রষ্টা ও সৃষ্টি’।
(যোগশিখা উপনিষদ)
বেদের একই সুক্তে বলা হয়েছে, "এবার সেই কারণ সলিল নির্মিত পিণ্ড উপরে ও নিচে উঠতে লাগলো। আর মধ্যেও তার বিস্তার হতে থাকে। এই স্তম্ভকেই বলে লিঙ্গ।"
কেবল সেখানেই নয়, লিঙ্গপুরাণের লিঙ্গোদ্ভব অধ্যায়েও তাই বলা হয়েছে।
লিঙ্গের আকৃতি দেখলে আসা করি শুধু একটা উপবৃত্তাকার-স্থম্ভ দেখবে না! তার সঙ্গে নিচে বেদী আকৃতির একটি অংশ ও দেখবে। এটি আবার কি? মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জাগবে। তাহলে সেই উত্তরের সমাধান নিশ্চয়ই আছে। আর এর উত্তর সর্বদা লিঙ্গের পাশে বিদ্যমান থাকে।
সমগ্র শিবলিঙ্গের আকৃতির তিন ভাগ আছে। যদি শিবলিঙ্গ দেখে থাকো তাহলে নিশ্চয়ই দেখবে তার পাশে ত্রিশূল বসানো। তার তিনটি শূল তিন গুণের প্রতীক, যথা-সমগ্র শিবলিঙ্গের আকৃতির তিন ভাগ আছে। যদি শিবলিঙ্গ দেখে থাকো তাহলে নিশ্চয়ই দেখবে তার পাশে ত্রিশূল বসানো। তার তিনটি শূল তিন গুণের প্রতীক, যথা-
১। সত্ত্ব,
২। রজ,
৩। তম
এই তিন গুণ সৃষ্টির তিন কারণকে (সৃষ্টিকর্তা- ব্রহ্মা, পালনকর্তা- বিষ্ণু ও সংহারকর্তা- শিব) বুঝায়। আর এই তিন প্রধান দেবতা নিচ থেকে সম্পূর্ণ লিঙ্গটা সৃষ্টি করে এই ভাবে-
১। সবার নিচের অংশ বা ভুমি ভাগ-
এই ভাগ সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার অংশ। এটি আমাদের বুঝায় সব কিছুর মুলেই সৃষ্টিকর্তা বিদ্যমান। আর সবকিছুর সাত্ত্বিক গুণসম্পন্ন শান্তিময় স্থান এটি। অর্থাৎ ঈশ্বরের ছত্রতলেই জগতের সব শান্তি।
২। পীঠ বা মধ্য ভাগ-
এটা সেই অংশ যাতে পালনকর্তা বিষ্ণু অবস্থান করে। এই অংশ বুঝায় বিষ্ণু নিজে আমাদের ধারণ করেছেন তার মধ্যে এবং সুরক্ষা দিচ্ছেন। এইটি রজগুণকে বুঝায় যা সত্ত্ব আর তমের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। আবার এই অংশ বিষ্ণুর বৈশিষ্ট্যকেও বোঝায়। বিষ্ণু মোক্ষ দানে সহায়তা করে, যা শিব লিঙ্গে ঢালা জলের মধ্যে প্রকাশ পায়। জল যা জীবনের প্রতীক তা জগতে ঈশ্বরের মধ্যে দিয়ে প্রকৃতিতে এসে আবার বিলীন হয়ে যায়।
এই দুই ভাগকে মিলে আবার প্রকৃতি ভাগও বলে, যা পুরুষ বা পরমাত্মাকে ধারণ করে। জগতমাতা দুর্গা এই প্রকৃতি। বিশেষ উল্লেখ্য এই যে শিব বেদে রুদ্র বলে বর্ণিত যে সর্বদা শান্ত থাকে শম্ভু রূপে যা শক্তি অর্থাৎ দেবী দুর্গার কারণে। লিঙ্গের এই অংশ তাই তিনি বিরাজ করেন। আর শিবের যে বিগ্রহগুলো থাকে তার বেশিরভাগই রুদ্র মূর্তি যা সংহারের ইঙ্গিত করে। তাই যুদ্ধ ছাড়া বেশিরভাগ সময়ই শিবকে লিঙ্গে পূজা করা হয়।
৩। সর্বোপরি রুদ্র ভাগ-
এই অংশ মূল লিঙ্গকে বলে। একে পূজা ভাগও বলে। এতে পুরুষ(বেদে বর্ণিত পরমাত্মা, বা ঈশ্বর) বা শিব অবস্থান করে। যা সর্বশক্তির উৎস ও কেন্দ্র। লিঙ্গপুরাণের পূর্বভাগের অধ্যায়-১৭ তে এর বর্ণনা দেওয়া আছে এইভাবে যে শিব নিজে এই ভাগে ধ্যান অবস্থায় আছেন। যা হতে তিনি প্রথম আবির্ভূত হয়েছেন। অথর্ববেদের দশম কাণ্ডে তো সুস্পষ্ট ভাবে স্তম্ভের মধ্যে পরমেশ্বরের আরাধনার কথা লেখা আছে। শিবলিঙ্গের গায়ে যে সাপটি থাকে তা আসলে সুপ্ত চেতনার প্রতীক শিবলিঙ্গের গায়ে অনেক সময়ে যে সাপটি প্যাঁচালো অবস্থায় দেখা যায়, সেটি আসলে কুলকুণ্ডলিনীর প্রতীক। এই শক্তির জাগরণকে চিহ্নিত করে শিবলিঙ্গ।
এই লিঙ্গ যে শুধু সৃষ্টি স্থিতি আর লয় বা পুরুষ ও প্রকৃতির কিম্বা পরমেশ্বরের কথা বলে তাই না।
এটি আমাদের আত্মাকে ও জ্ঞানকে জাগ্রত করে। কিভাবে?
এভাবে- ইরা, পিঙ্গলা আর সুষুম্না। যদি কেউ যোগশাস্ত্র(অনেকে যাকে ইয়োগা বলে চিনো সেই বিষয়টা) পড়ে থাকো তাহলে এই তিনটা শব্দ নিশ্চয়ই শুনে থাকবে। ইরা আর পিঙ্গলাকে নদী বলে যা প্রাণীর দেহে প্রবাহিত হয়। মূলত এগুলো দেহের স্নায়ু তন্ত্রের দুইভাগকে বুঝায়, যা দুটি সাপ দিয়ে দেখানো হয়। আর সুষুম্না হলো মেরুদণ্ডে অবস্থিত মধ্য সুষুম্না। যোগশাস্ত্র মতে, এই সুষুম্নার মধ্যে সাতটি চক্র আছে, যা আমাদের জীবনের সঞ্চালক শক্তি। এগুলো যদি সম্পূর্ণ রূপে সক্রিয় হয় তাহলে মানুষ আধাত্মিক ও আত্মিক ভাবে জাগ্রত হবে, শান্তি এবং আনন্দ অনুভব করবে, বুদ্ধি বৃদ্ধি এবং আধ্যাত্মিক ভাবে সংযোগ বৃদ্ধিসহ আরও অনেক লাভ পাবে। আর শিবলিঙ্গ এর সম্পূর্ণ জাগ্রত প্রতীক।
মূল লিঙ্গের ভেতরে সক্রিয় সাতটি চক্র বিদ্যমান এবং শিবলিঙ্গে সাপ দেখবে যা কুণ্ডলিনী চক্রের মতো সাড়ে তিন প্যাঁচ দিয়ে উপরে উঠে। এবং এই শক্তি আমাদের মন স্থির করতে সাহায্য করে, তাই এটি আমাদের আধ্যাত্মিক ভাবে জাগ্রত এবং মানসিক ভাবে শান্ত করে। বিশ্বাস হচ্ছে না?
এটার প্রমান আমি দিবো না, তুমি নিজেই একটা নিস্তব্ধ শিব মন্দিরের গর্ভগৃহের (মন্দিরের সেই ঘর যাতে দেবতা থাকে) সামনে যাও, কোন কিছু করতে হবে না, না তাকে নমস্কার করতে হবে, না পূজা করতে হবে, শুধু চুপ করে একবার শান্ত হয়ে লিঙ্গটির দিকে দেখ আর চোখ বন্ধ করে আশেপাশের অবস্থা বুঝার চেষ্টা করো। নিজেই বুঝতে পারবে এর তাৎপর্য।
বাঘের ত্বক হিন্দু ধর্মে বাঘ শক্তি ও বাহিনীর দেবী শক্তি বাহনের প্রতিনিধিত্ব করে । বাঘের চামড়া পরা শিব তাঁর শক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন এবং তিনি যে শক্তির কর্তা যা অন্য কোনও শক্তির বাইরে। বাঘও কামের প্রতিনিধিত্ব করে, এবং শিবের উপর বসে এটি দেখায় যে তিনি অভিলাষকে জয় করেছেন। তদুপরি, বাঘও শক্তির প্রতীক, এবং এই ক্ষেত্রে, এটি শিবকে সমস্ত মহাবিশ্ব জুড়ে প্রাসঙ্গিক শক্তির উত্স হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করে, এবং শিব তাঁর নিজস্ব ইচ্ছাশক্তি দিয়ে মহাবিশ্বকে অন্তহীন চক্রে প্রবর্তনের জন্য শক্তি সক্রিয় করেন।
রুদ্রাক্ষের মালা শিব পরেন তাঁর নিজের অশ্রু থেকে তৈরি ১০৮ টি পুঁতি নিয়ে রুদ্রাক্ষের মালা পরিয়েছেন । পুঁতির অর্থ পৃথিবীর উপাদান, এবং তার পরা মানে রুদ্রাক্ষ বিশ্বজগতের নিয়ম সম্পর্কে । এমনকি তিনি মহাজাগতিক আইন অনুসরণ করেন।
দামারু, ড্রাম --- উত্স - স্বরূপ্রয় --- এটি মহাজাগতিক শব্দকে উপস্থাপন করে। ডমরু শব্দ বলা হয় ব্রাহ্ম" বা ওম এবং প্রতিনিধিত্ব করে। এটি থেকেই ব্যাকরণ এবং সংগীত প্রকাশিত হয়েছিল। যখন ডমরু ভাইব্রেটেড হয়, তখন এটি ভিন্নধর্মী শব্দ উত্পন্ন করে যা একটি শব্দ তৈরি করতে অনুরণন দ্বারা একসাথে মিশে যায়। এইভাবে উত্পন্ন শব্দটি নাদের প্রতীকী, এইউএমের মহাজাগতিক শব্দ, যা গভীর ধ্যানের সময় শোনা যায়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে শিব মোড সৃষ্টির সময় তাঁর ডামরু ১৪ বার কম্পন করে। এই ১৪ টি মূল সূত্রে সংস্করণের সমস্ত বর্ণমালা বিভিন্ন ব্যাকরণগত প্রক্রিয়াগুলি সহজতর করার জন্য সাজানো হয়েছে। সুতরাং, দামারু বর্ণমালা, ব্যাকরণ এবং ভাষা নিজেই উপস্থাপন করে।
প্রস্তাবিত - ভগবান শিব এবং তাঁর চিত্রকর্ম সম্পর্কে ৫ টি ত্রিশূল শিবের বর্শায় তিনটি ছড়িয়ে রয়েছে এবং তারা শিবের মৌলিক শক্তির তিনটি প্রতিনিধিত্ব করে: উইল (আইচচ্যা), কর্ম (ক্রিয়া) এবং জ্ঞান (জ্ঞান)। এটি প্রতিনিধিত্ব করে যে সে মন্দ ও অজ্ঞতা ধ্বংস করতে পারে। এটি আরও উপস্থাপন করে যে অপরাধীরা প্রভুকে তিনটি প্লেনে শাস্তি দেয়: আধ্যাত্মিক, সূক্ষ্ম এবং শারীরিক।
কমন্ডলু শিবের আর একটি আনুষঙ্গিক জিনিস। এটি শুকনো কুমড়ো থেকে তৈরি একটি জলের পাত্র এবং এতে অমৃত রয়েছে। এটি প্রভুর যোগী পক্ষকে উপস্থাপন করে তবে এর গভীর অর্থ রয়েছে। ঠিক যেমন কীভাবে কুমড়ো গাছ থেকে কেটে ফেলা হয় এবং এর ফলটি মুছে ফেলা হয় এবং খোলটি শুদ্ধ অমৃত বহন করার জন্য পরিষ্কার করা হয়, একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই জগতের ত্যাগ করতে হবে এবং অহংকারের আত্মাকে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং কেবল তখনই তিনি খাঁটি আধ্যাত্মিক সন্ধান করতে পারবেন গঠন করে।
কুন্ডল তারা দুটি কানের দুল উল্লেখ করে: অলক্ষ্যা যার অর্থ কোনও চিহ্ন দ্বারা দেখা যায় না এবং নিরঞ্জন, যা নশ্বর চোখ দ্বারা দেখা যায় না। এর অর্থ শিবের দুর্ভেদ্য প্রকৃতিকে বোঝায়। বাম দিকটি মহিলাদের দ্বারা পরিহিত হয় এবং ডানটি পুরুষরা ব্যবহার করে। কুণ্ডলগুলি শিব ও শক্তির দ্বৈত প্রকৃতির প্রতিনিধিত্ব করেন, পুরুষ ও স্ত্রী, সৃষ্টির মূলনীতি।
Comments
Post a Comment