"ভালো লাগছে মাতৃভূমিতে ফিরে এলাম


সুশোভন মিস্ত্রী- নুরসেলিম লস্কর, গোসাবা : গতকাল সন্ধ্যায় ৪২ দিন জেল বন্ধ থাকার পর শনিবার মুক্তি পেলেন ভাঙ্গরের বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী। আর ৪২ দিন পর নাওশাদের বাড়ি ফেরার খুশিতে যেমন ফুরফুরাবাসীরা মিষ্টি মুখ থেকে শুরু করে আবির খেলায় মেতে ছিলেন ঠিক তেমনি দৃশ্য এবার দেখা গেল প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গোসাবা তে।

এদিন বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীর জেল মুক্তির খবর পাওয়ার পর গোসবার কামাখ্যাপুরের গৌরঙ্গ, সাদ্দাম, আলি হোসেন, কালাম ও সামিরুল দের মতো কিছু যুবক কে দেখা গেল ঐ এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পথ চলতি সকল মানুষদের কেও মিষ্টি মুখ করাতে। উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক দের সাথে অশান্তি তে জড়াই আইএসএফ এর কর্মী সমর্থকরা ৷ তার পর কলকাতার ধর্মতলায় আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেও সেদিন উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে ৷ পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ৷ ধর্মতলা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে ও সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় আরও আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ও।

আর এই মিষ্টি মুখ করানোর কারণ জানতে চাইলে ঐ যুবক দের মধ্যে থেকে সাদ্দাম নামের এক যুবক জানান, "যে আজ আমাদের প্রাণ প্ৰিয় ছোট ভাইজান মানে বিধায়ক নাওশাদ সিদ্দিকী জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন তাই আজ আমারা সেই খুশি তে সকল কে মিষ্টি মুখ করাচ্ছি। কারণ আজ সত্যের জয় হয়েছে, সংবিধানের জয় হয়েছে। মিথ্যা দিয়ে যে কখনো সত্য কে থামিয়ে রাখা যায়না সেটা আর একবার আজ প্রমান করলো মহামান্য কলকাতা কোর্ড "। আর নওশাদের ফুরফুরায় স্বাগত জানিয়ে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী জানান,"দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে নাওশাদ গ্রেফতার হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, নাওশাদ -সহ সকলে দুঃস্থ অসহায় মানুষের অধিকার নিয়ে লড়ছিল । তাঁদের অন্যায়ভাবে জেলে ভরা হয়েছিল। তবে আইন এবং সংবিধানের আজ জয় হয়েছে । আমাদের দেশের আদালত সঠিক বিচার করেছে ।"

আর যার গ্রেফতার থেকে শুরু করে জেল বন্দি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল সেই ভাঙ্গরের বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী ঘরে ফিরে বলেন, "ভালো লাগছে মাতৃভূমিতে ফিরে এলাম । আইনের মাধ্যমে বাকিদেরও দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে আসব । একটাই বার্তা, আইএসএফ-এর লড়াই সমাজ বদলানোর লড়াই, সেই লড়াই থেকে এক পাও পিছিয়ে আসবে না । ক্ষমতা দখল আমাদের লক্ষ্য নয়, মার খাব, জেল হবে এটা আমরা ধরে নিয়ে এগোব । আসার সময় জেলা আধিকারিককে বলে এসেছি টাটা নয়, আবার দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে আমাদের ।"


Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

'দরবারী পদাবলী'-তে গুরু-শিষ্য পরম্পরার অনবদ্য নজির কলকাতায়