হাই প্রোফাইল বন্দি
নিজস্বপ্রতিনিধিঃকলকাতা,সাত দিনের পুলিশি
হেফাজত তৃণমূল কংগ্রেসের
বীরভূম জেলা সভাপতি
অনুব্রত মণ্ডলের। আপাতত তাঁর
ঠাঁই হয়েছে দুবরাজপুর
থানায়। তার জেরে
এখনই দিল্লি নিয়ে
যাওয়া সম্ভব হল
না অনুব্রতকে। হাই প্রোফাইল
বন্দি অনুব্রতকে রাখার
জন্য কড়া নিরাপত্তার
ব্যবস্থা করা হয়েছে
থানা চত্বরে। অনুব্রতর নিরাপত্তায়
যাতে কোনও খামতি
না হয়, সেই
বিষয়টিও নিশ্চিত করার
জন্য মঙ্গলবার আদালতে
আর্জি জানান সরকারি
আইনজীবী। ইতিমধ্যেই অনুব্রতকে
আদালত থেকে নিয়ে
যাওয়া হয়েছে দুবরাজপুর
থানায়। গরু পাচার
মামলায় তদন্ত করছে
ইডি। সোমবারই ওই
মামলায় অনুব্রতকে দিল্লিতে
নিয়ে গিয়ে জেরা
করার অনুমতি পেয়েছে
ইডি। এ বিষয়ে
শনিবার দিল্লির রাউস
অ্যাভিনিউ আদালতে শুনানি
হয়েছিল। অনুব্রতকে দিল্লিতে
জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতের
কাছে অনুমতি চেয়েছিল
ইডি। সোমবার আদালত
সেই রায় ঘোষণা
করে জানায়, প্রয়োজনে
অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে
এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা
ইডি। দিল্লির আদালতের
সেই নির্দেশের কপি
ইডির হাতে আসার
আগে মঙ্গলবার সকালে
আসানসোল জেল থেকে
বের করে অনুব্রতকে
দুবরাজপুর আদালতে পেশ
করে পুলিশ। তৃণমূল কর্মী
শিবঠাকুর মণ্ডল তাঁর
বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ
দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ,
২০২১ সালে বিধানসভা
নির্বাচনের আগে তৃণমূল
পার্টি অফিসে তাঁকে
গলা টিপে মারার
চেষ্টা করা হয়। তিনি
অন্য দলে যোগ
দিতে চেয়েছিলেন বলেই
এটা করা হয়েছিল। অনুব্রতর
বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য
ধারায় খুনের চেষ্টার
অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ
১৪ দিনের জন্য
অনুব্রতকে হেফাজতে চাইলেও,
সাত দিনের জন্য
তাঁকে পুলিশি হেফাজতের
নির্দেশ দেন বিচারক। দুবরাজপুর
আদালতের বিচারক অনুব্রতকে
সাত দিনের পুলিশ
হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ায়
তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে
যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার
মুখে পড়ল ইডি। সূত্রের
খবর, এমতাবস্থায় কী করা
যায়, তা নিয়ে
বৈঠকে বসছে ইডি।
অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা রুখতেই পুলিশের এই
তৎপরতা বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এদিন আদালতের তোলা হলে
অনুব্রতর জামিনের জন্য কেউ
আবেদন করেননি। আইনজীবীদের একাংশও মনে
করছেন, পুলিশের এই
অতি সক্রিয়তার বিষয়টি উচ্চ আদালতও ভবিষ্যতে ভালভাবে নেবে না।
আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা সবাই জানি যে
রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুব্রত মণ্ডলকে নির্দেশ দিয়েছে। হয়তো সাতদিন পুলিশ হেফাজত পাওয়ার জন্য ইডি
ওঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারল না।
কিন্তু পরে এই
বিষয়টিই না ওঁর
কাল হয়ে দাঁড়ায়।
Comments
Post a Comment