ব্রেইন স্ট্রোকের কথা আসে তখন সময়টাই মুখ্য
নিজস্ব প্রতিনিধি- 'ব্রেন স্ট্রোক হল এমন একটি মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি যেখানে মতিষ্কে রক্ত সরবরাহে মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত ঘটে। রক্তনালীটি ব্লক হয়ে গেলে ( ইঞ্চিমিয়া) বা রক্তনালীতে একটি ফুটো হয়ে গেলে (হ্যামারেজ) এটি হতে পারে। ভারতে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন রোগীর স্ট্রোক হয় এবং প্রতি ৪ মিনিটে একজন রোগী স্ট্রোকের কারণে মারা যায়।একজন স্ট্রোক আক্রান্ত রোগী সারা জীবনের জন্য পঙ্গু ও অক্ষম হয়ে যেতে পারে। স্টোক আক্রান্ত রোগী যদি সময়মত হাসপাতালে পৌঁছায় এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র যদি অবিলম্বে এই রোগীকে শনাক্ত করে চিকিৎসা করতে পারে, তাহলে স্ট্রোকের প্রভাব উল্লেখযোগাভাবে কমে যেতে পারে। এই দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে নারায়ণা হেলথ, ইস্টার্ন ক্লাস্টার, তিনটি ভৌগোলিক অঞ্চল, কলকাতা, হাওড়া এবং বারাসাত জুড়ে স্ট্রোকের চিকিৎসার সর্বোত্তম অ্যাকসেস সুনিশ্চিত করতে স্পোক এবং হাব স্ট্রোক মডেল চালু করেছে। এই প্রোগ্রামটি ৭ মে ২০২২-এ কলকাতা প্রেস ক্লাবে কলকাতায় চালু করা হয়েছে।
ডাঃ কৌশিক সুন্দর (ক্লিনিক্যাল নিড ফর কমপ্রিহেনসিভ স্ট্রোক কেয়ার,
নারায়ণা হেলথ, ইস্টার্ন ক্লাস্টার) বলেন "যখন ব্রেইন স্ট্রোকের কথা আসে তখন সময়টাই
মুখ্য হয়। অনেক সময় ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য কাছাকাছি
হাসপাতালে পৌঁছান। ব্রেন স্ট্রোক নির্ণয় করা বা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের এই রোগীকে
চিকিৎসা করার সময়, অনেক ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়ে যায়। এই বিষয়ে নারায়ণা
হেলথ গ্রুপ অফ হসপিটাল গুলি কারণ, তাদের সমস্ত মেডিকেল রেকর্ড, নিরীক্ষণ এবং ইমেজিং
ফেসিলিটিগুলি একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও রোগী বারাসত ইউনিটে
ভর্তি হন এবং সিটি স্ক্যান করান, তখন ইমেজগুলি তৎক্ষণাৎ কলকাতায় বসে থাকা স্ট্রোক
টিমের কাছে চলে যাবে। স্ট্রোক টিম তখন সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে ওই রোগীকে উন্নত থেরাপিউটিক
বিকল্পগুলির জন্য উচ্চতর অন্য কোনও কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা প্রয়োজন কিনা। এইভাবে
নারায়ণা হেলথ কোনও অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই ২৪.৭ রোগীদের জন্য এই পরিষেবা দিয়ে চলেছে।
এই নেটওয়ার্কিং সারাদিন রোগীর জন্য নির্বিঘ্ন রেফারেল, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং সর্বোত্তম
চিকিৎসাকে সুনিশ্চিত করে।"
এই শক্তিশালী টেলিস্ট্রোক এবং রেফারেল সিস্টেমের পাশাপাশি, কলকাতার
এন.এইচ. রবীন্দ্রনাথ ট্যাগোর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস তার
স্ট্রোক ক্লিনিক চালু করার কথা ঘোষণা করেছে। যেসব রোগী আগে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত
হয়েছিলেন, তাঁরা চিকিৎসার বিষয়ে নিরীক্ষণ এবং বিশেষজ্ঞ মতামতের জন্য মাল্টিস্পেশালিটি
হাসপাতালের কাছে যান এই হাসপাতালের স্ট্রোক ক্লিনিক সাশ্রয়ী খরচে ব্রেইনের এমআরআই
সহ স্ট্রোক পরীক্ষার বিশেষ প্যাকেজ চালু করেছে স্ট্রোক ক্লিনিক।একই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ
নিউরোফিজিশিয়ান, কার্ডিওলজিস্ট, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ এবং
ডায়েটিশিয়ান পরামর্শ সহ সমস্ত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিশ্চিত করে একটি পাতালে এসেই
এই যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যায়। এহেন এই মডেলটি পরবর্তী মাসগুলিতে কলকাতা এবং তার
আশেপাশের সমস্ত এন এইচ কেন্দ্রগুলিতে প্রয়োগ করা হবে।
এন এইচ, হাওড়ার কনসালটেন্ট নিউরোলজিস্ট ডাঃ অরিন্দম ঘোষ বলেন,
“যদিও এই অত্যাধুনিক পদ্ধতিগুলি ভবিষ্যতের প্রয়োজন মেটানোর কথা ভেবে এসেছে, তাহলেও
স্ট্রোক রোগীদের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা কিন্তু রয়ে গিয়েছে, সেটি হল, এই রোগীদের সঠিক
সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না। যদি রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া
যায় এবং হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা অবিলম্বে এই রোগীর চিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয়তাগুলি
পূরণ করতে পারে, তাহলে সেটাই ঘরে স্ট্রোকের সর্বোত্তম চিকিৎসা এম এইচ গ্রুপ অফ হসপিটালের
একটি উদ্যোগ, স্ট্রোক হিরো প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে এই সমস্ত স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং
স্ট্রোক রোগীদের আত্মীয়দের সম্মানিত করা হয়, যারা স্ট্রোক রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে
নিয়ে আসে এবং তাদের জন্য অবিলম্বে সর্বোত্তম চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করে
নারায়ণা হেলথ এর সদর দফতর ভারতের বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত এবং এখন
থেকে সারা দেশে এই হাসপাতালের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা হয় বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্য
কর্ণাটক এবং পূর্ব ভারতে এর একটি শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে সেইসঙ্গে উত্তর, পশ্চিম
এবং মধ্য ভারতেও নতুন উপস্থিতি তৈরি হয়েছে।আমাদের প্রথম ফেসিলিটি বেঙ্গালুরুতে প্রায়
২২৫টি অপারেশনাল বেড নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং আমরা তখন থেকে ২১টি হাসপাতাল, ১টি
কেম্যান আইল্যান্ড এ এবং ৬টি ২টি সেন্টার, সমগ্র ভারত জুড়ে ১৯টি প্রাইমারি কেয়ার
ফেসিলিটি এবং কেম্যান আইল্যান্ডে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতালে প্রতিষ্ঠা করেছি
প্রিনফিল্ড প্রকল্প এবং অধিগ্রহণের সমন্বয়ের মাধ্যমে এই গ্রুপটির হাতে এখন ৫৮৫৯টিরও
শি অপারেশনাল বেড রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি যে "নারায়ণা হেলথ ব্র্যান্ডটি আমাদের
অর্থনীতি, দক্ষ চিকিৎসক এবং একটি দক্ষ ব্যবসায়িক মডেলের ফেসিলিটির মাধ্যমে বৃহত্তর
জনসংখ্যার কাছে উচ্চ মানের, সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যের সঙ্গে
দৃঢ়ভাবে যুক্ত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত চিকিৎসকরা
ডাঃ. ডাঃ কৌশিক সুন্দর- নিউরোলজি-আরএন ঠাকুর, মুকুন্দপুর উৎপল ব্রহ্মা জরুরী আর এন ঠাকুর, মুকুন্দপুর
ডাঃ অপূর্ব পাঞ্জা-এমারজেন্সি মাল্টিস্প্যাশালিস্ট,বারাসাত।
ডাঃ. অনন্যা দাস- নিউরোলজি। নারায়ণ মাল্টিস্পেশালিটি, বারাসত
নিলয় বিশ্বাস নিউরোসার্জারি- নারায়ণ সুপারস্পেশালিটি, হাওড়া।
ডাঃ রম্যজিৎ লাহিড়ী-ইমার্জেন্সি নারায়ণ সুপারস্পেশালিটি, হাওড়া
ডাঃ অরিন্দম ঘোষ-নিউরোলজি-নারায়ণ সুপারস্পেশালিটি, হাওড়া
ডাঃ অরিন্দম দাস নিউরোলজি-নারায়ণ সুপারস্পেশালিটি, হাওড়া
ডাঃ সুদীপ ব্যানার্জি-ইমার্জেন্সি- নারায়ণ সুপারস্পেশালিটি, হাওড়া
Comments
Post a Comment