যা বলছেন মিথ্যা বলছেন, নজর ঘোরাতে বলছেন।

 

সঞ্জয় রায়চৌধুরীঃ কলকাতা, সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন কুনাল ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র বামেদের সাথে আমাদের নীতিগত লড়াই আছে। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য টিএমসির জন্ম। বিভিন্ন ইস্যুতে মত পার্থক্য থাকলেও বিজেপি ধর্মের নামে যে ভেদাভেদ করছে সেটাকে আমরা মানিনা। বামেদের হাতে রাজ্য নিরাপদ নয়৷ কিন্তু যারা ধর্মের ভিত্তিতে সামাজিক ভাগ করে তাদের হাতে শাসক-বিরোধী কেউ সুরক্ষিত নয়। বিজেপি চতুর্থ হলে আমরা আরও খুশি হব। বাংলার স্বার্থে, দেশের স্বার্থে বিজেপির চতুর্থ হওয়া ভালো। বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ। তারা বিপুল সমর্থন জানিয়েছেন। পাশাপাশি এটা প্রমাণ করে দিয়েছেন বাংলার মানুষ রাজ্যের যে কাজ চলছে যে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে তাতে পূর্ণ আস্থা রেখেছেন। বিজেপিকে বিভ্রান্ত হয়ে কিছু মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। তারাও আজ বুঝতে পারছেন। পুরোদস্তুর টিএমসির ওপর আস্থা রেখেছেন। বিজেপির অবস্থা খুব খারাপ। প্রথম ও দ্বিতীয় ফারাক অনেক৷ দ্বিতীয় ও তৃতীয় লড়াইয়ে দুই জায়গায় বামেরা এগিয়ে গেছে। আসলে মানুষের আস্থা বেড়েছে।

আগামী দিনে মানুষের ভরসা থাকুক এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য। ১০০% মানুষ উপকার পেয়েছেন। আমরা ৯০% ভোট পেয়েছি। নজর রাখছি কেন ১০% ভোট পেলাম না। এটা আমাদের আত্মসমালোচনা করতে হবে। মানুষের কাছে আরও যেতে হবে। যত জয়, তত মানুষের কাছে যেতে হবে। বিজেপি ১৭-১৮ জনকে নিয়ে যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তা আসলে ছবি তোলার জন্য। বিজেপির অন্তর আত্মার আর্তনাদ জয়প্রকাশ-রীতেশের গলায় শোনা যাচ্ছে। ওরা স্মারকলিপি, পিটিশনে আছে। এত না ঘুরে ওরা রাষ্ট্রসংঘ যাক। শান্তি বাহিনীর পিটিশন নিয়ে আসুক। সালে বিজেপি একটা বিভ্রান্তিকর অবস্থা হয়েছ। আসলে কৃষক বিরোধী নীতি। লাগাতার কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি। বিজেপি সম্পর্কে তাদের রাজ্য নেতারাই জয়প্রকাশ-রীতেশ অযোগ্য বলছেন। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে ওদের গোষ্ঠী দ্বন্দ। টিএমসি উত্তরবঙ্গকে ঢেলে সাজিয়েছে এটাই তার প্রমাণ নরেন্দ্র মোদী বুঝছেন তৃণমূল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সাংসদ সংখ্যা বাড়বে। মমতাকে ঘিরে বিজেপি বিরোধী ভোট কেন্দ্র বাড়ছে। তাই উনি ভয় পাচ্ছেন। আমরা ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করিনা৷ উগ্র হিন্দুত্বের নামে যা করছে তার বিরোধিতা করা হয়েছে। মোদীর পালটা মুখ মমতা বন্দোপাধ্যায়। তৃণমূল নিউক্লিয়াস।

জাতীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবিজেপি রাজ্যগুলি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে আলোচনা চালাচ্ছে। ৭ বার সাংসদ, ৩ বার মুখ্যমন্ত্রী, ৪ বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সব দলের কাছে তার আলাদা ওজন আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সবাই একসাথে চলতে চাইছে।

যোগী আদিত্যনাথ যত কম কথা বলেন তত ভালো। বাংলার ওনার বক্তৃতা শুনতে কেউ আসেনি। টিএমসির নিয়ন্ত্রণে কিছু ছিল না। সবটাই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন করেছে। আগে হাতজোড় করে ক্ষমা চাই। বাংলা একের পর এক বিভাগে বাংলা এক নম্বর। যা বলছেন মিথ্যা বলছেন। নজর ঘোরাতে বলছেন। বিরোধী দলনেতা রোজ মেজাজ হারান। অর্ধেক কথার উত্তর দেন না। ছাত্ররা বিশ্বাসঘাতক, গদ্দারকে দেখে স্লোগান দিয়েছে। শুভেন্দু ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করেছেন মমতা-অভিষেককে। তিনি হিন্দুদের অপমান করেছেন৷ রাজনৈতিক জন্মদাত্রীকে অপমান করছেন। জননেতা উনি? উনি আবার সহিষ্ণুতার কথা বলেন। উনি যতই হালুম বলুন। আসলে উনি ম্যাও। নেতা হওয়ার মেরুদণ্ড নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্ন পছন্দ না হলেই একটা বিশেষণ ব্যবহার করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে ছাত্রদের গুন্ডার মতো মারতে যাবে নাকি। মানসিক স্থিতি ঠিক নেই।

 

Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

কলকাতা হাইকোটের নির্দেশ অনুযায়ী ....