ছবির মধ্যে দিয়ে এই অপদার্থ
বলরাম বোসঃ প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ বাড়ার জন্য যে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সেই বিধি-নিষেধ আরোপ করার আগে রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনের ভাবা উচিত ছিল দুর্গাপুজো কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, কার্তিক পুজো, ২৫ শে ডিসেম্বর, ৩১ শে ডিসেম্বর, ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন এবং মেলা, খেলা, আনন্দ, উৎসব, অনুষ্ঠান হচ্ছিল সেই সময় তাদের মাথায় ছিল না। এর ফলে করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ প্রচন্ড পরিমানে বেড়ে যেতে পারে আর এর ফলেই নতুন বছরের তৃতীয় ঢেউ আক্রমণ যখন বেড়ে চলছে, তখন করোনা ভাইরাসের আক্রমণ কে পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান দুটো জেলা সহ আশেপাশের জেলার মানুষ পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ আসেন এবং তার পাশে কয়েকশো মানুষ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে উল্টোদিকে যে সমস্ত দোকান আছে তার উপরে নির্ভর করে আছে রোগীরা এবং রোগীদের পরিবারের লোকেরা,
সেখান থেকে বিভিন্ন জিনিস কেনে তারা পানীয় জল, গরম জল থেকে শুরু করে চা, বিভিন্ন খাবার এবং রোগীদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস এই দোকান থেকে কিনে আনে দোকান খোলা থাকলে সেই সমস্ত জিনিস কিনে রোগীদের সাহায্যে লাগে, এই দোকান গুলোর উপরে নির্ভর করে, কিন্তু পূর্ব বর্ধমান প্রশাসন এবং বর্ধমান পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আচমকাই আজ সকাল বেলায় এসে সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেয়, যার ফলে বিপদে পড়ে এবং সমস্যায় পড়ে হাসপাতালে চিকিত্সা করতে আসা রোগীর পরিবার এবং রোগীরা তার সাথে হাসপাতালে সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা শুধু তাই না বিপদের মুখে পড়েছে রোগীরা এবং রোগীর পরিবারের লোকেরা। প্রসূতি বিভাগের প্রতিদিন নতুন নতুন শিশু ভূমিষ্ঠ হচ্ছে তাদের বিভিন্ন জিনিসের প্রয়োজন হয়। পুলিশ প্রশাসন এবং পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসন যে কতটা অপদার্থ সেটা প্রমান করে এই কাজ এবং প্রশাসনের কর্তা, ব্যক্তিরা যাদের অঙ্গুলি হেলনে প্রশাসন চলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার।
Comments
Post a Comment