সাধারণ মানুষ ও সরকারের কাছে আবেদন
বিধিনিষেধ মেনে পার্লার ও সেলুন খোলার অনুমতি দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগই মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত। এই শিল্পের যুক্ত রয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকলকেই অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধে নামতে হয়েছে। দুজন মানুষের মধ্যে দূরত্ব বিধি বা Close Proximity-র কথা বলে সবার শেষে পার্লার-সেলুন খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিধিনিষেধ মেনে পার্লার ও সেলুনে সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। যদি এর পরেও মনে হয় করোনা সংক্রমণ হতে পারে, তখন প্রশ্ন, ঘনবসতি এই দেশে বাজার, হাট, অফিস, কোর্ট-কাছারি, বাস, ট্রেন, অটো, রাস্তাঘাট, খাবার দোকান, পানশালা, চায়ের দোকান, মুদির দোকান কোথায় দূরত্ব বিধি বা Close Proximity নেই? বারবার এই শিল্পের উপর আঙুল উঠছে কেন ? সব রকম সতর্কতা নিয়েও কেন করোনা সংক্রমণের বাহকের তকমা পাচ্ছে এই শিল্প? যে সমস্ত মানুষ সেলুন ও পার্লারে এসে সারাদিনের ক্লান্তির পর একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেন। তাঁরাই আজ পার্লারে আসতে ভয় পাচ্ছেন কেন? ভিড় বাসে করোনার ভয় নেই!! থিকথিকে লোকাল ট্রেনে করোনার ভয় নেই!! সবজি বাজারে মাক্সবিহীন বিক্রেতার কাছ থেকে সবজি কিনতে ভয় নেই!! ভয় শুধু ডাবল মাক্স পরা.. হাতে গ্লাভস পরা... পার্লার কর্মীদের। দেশের যে বড় অংশের করোনা সংক্রমণ হয়েছিল, কিংবা হয়েছে, তাদের মধ্যে কত শতাংশ পার্লারে গিয়েছিলেন? সেটাও কিন্তু গবেষণা যোগ্য।
বিউটি পার্লার, সেলুনের দিকে আঙুল না তুলে এই শিল্পকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় 'ওনার ফর এভার'এর তরফে। তাঁদের আবেদন, করোনা... মানুষ আনাগোনা করে এমন যে কোনও জায়গায় হতে পারে। , বিশ্বাস আর ভরসা এই কঠিন পরিস্থিতিতে এই শিল্পের চলার পথের রসদ হয়ে আশার আলো জ্বালাতে পারে।
Comments
Post a Comment