গঙ্গাসাগর নিয়ে বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনা.......

 


মৃণাল কান্তিসরকার- কথায় আছে সব তীর্থ বারবার কিন্তু গঙ্গাসাগর একবার। প্রতিবছর গঙ্গাসাগর কে ঘিরে একটা অন্যরকম উন্মাদনা থাকে তীর্থ যাত্রীদের মনে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু তীর্থযাত্রীরা আসেন সাগরদ্বীপের কপিল মুনির আশ্রমে। 

দিন দিন ভির  যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে এবং সমগ্র ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা আধিকারিক নিপুণতা সাথে কাজ করে চলেছেন অনবরত।  

এবছরের গঙ্গাসাগর যাত্রা যেহেতু করোনা মহামারীর   ছায়া রয়েছে তাই ভিড় কিছুটা এড়াতে নতুন ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক ভাবে গ্রহন করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে  তিনি একথা জানান।  ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য স্নান করানোর ব্যবস্থা থাকছে এবারে। তার জন্য অত্যাধুনিক কুড়িটি ড্রোনের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। জানা যায় বেশ কিছু পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে গঙ্গাসাগরের পবিত্র গঙ্গাজল ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ে আসা হবে সেই সমস্ত জায়গায় পুণ্যার্থীদের জন্য। যেহেতু এই সম্পূর্ণ বিষয়টি প্রযুক্তির মাধ্যমে হবে তাই এবার এটি প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে করা হবে। 

এছাড়াও থাকছে ই স্নান , ই পূজা এবং ই দর্শনের ব্যবস্থা। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ই স্নান উদ্ভোধন করা হলো। ই স্নানের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার চালু করলো জেলা প্রশাসন এই হোয়াটসঅ্যাপে Hi লিখে তারপর কতগুলি ধাপ পেরোলেই বুক হয়ে যাবে ই স্নানের ব্যবস্থা। হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার হলো 7003961108।  কুরিয়ারের মাধ্যমেই আপনার বাড়িতে পৌঁছে যাবে গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল। এছাড়াও থাকছে প্রসাদের ব্যবস্থা। অনলাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে । 

P.w.d. এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য এবার থাকছে সাগর ভ্রমণের ব্যবস্থা। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করলে জেলা আধিকারিক এর পক্ষ থেকে বিশেষ বিশেষ জায়গা থেকে তাদের নিয়ে গিয়ে গঙ্গাসাগর দর্শন করে আবার সেই জায়গাতেই ফিরিয়ে আনা হবে। 

দফায় দফায় এনডিআরএফ, নৌ-বাহিনী এসডিআরএফ , পুলিশ আধিকারিক দের সাথে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বৈঠক হয়েছে দক্ষিণ ২৪ জেলা প্রশাসনের। 

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাশক উল্গানাথান জানান যেহেতু এবার কলকাতা পুরসভার ভোট ছিল তাই আমরা ছয় মাস আগে থেকেই এই মেলার প্রস্তুতি শুরু করেছি । গতবছরের থেকে অনেক বেশি মানুষ এবার এই গঙ্গাসাগর মেলায় উপস্থিত হবেন তেমনটাই আশা রাখছি। সম্পূর্ণ করো না বিধি মেন এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় অর্থাৎ যাতায়াতের পথে গঙ্গাসাগরে থাকার জায়গায় বাস স্ট্যান্ড ভেসেলে থাকছে সেনিটাইজেশন এর ব্যবস্থা। সম্পূর্ণ যাত্রাপথ এবং গঙ্গাসাগরের সম্পূর্ণ এলাকা থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরবন্দি। সমুদ্র সৈকত যাতে সম্পূর্ণভাবে দূষণমুক্ত থাকে সেই ব্যাপারটি দেখার জন্য বিপুল পরিমাণে ভলেন্টিয়ার নিযুক্ত করা হচ্ছে। 

তীর্থযাত্রীরা এক টিকিটে যাতে সাগর দর্শন করে আবার ফিরে আসতে পারেন তার জন্য পরিবহন দপ্তরের সাথে আলোচনা হচ্ছে। যদি এই ব্যবস্থা ফলপ্রসূ হয় তাহলে বারবার টিকিট কাটার ঝক্কি থাকবেনা পুণ্যার্থীদের। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এ কথা জানা যায়।

Comments

Popular posts from this blog

মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সফলতা

কলকাতা হাইকোটের নির্দেশ অনুযায়ী ....